অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প (এসএমই) উন্নয়নে নীতি-কৌশল বাস্তবায়নে কাজ করে থাকে এসএমই ফাউন্ডেশন। এর পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে এ খাতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নেয় সংস্থাটি। এ ফাউন্ডেশন শিল্পোদ্যোক্তাদের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিতকরণ, নিজ প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মান সনদ অর্জনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় অকুপেশনাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা ওএইচএসএএস এসএমই উদ্যোক্তাদের মাঝে কার্যকরভাবে পৌঁছে দিতে ফাউন্ডেশন কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে।
ওএইচএসএএসের মাধ্যমে প্রথমে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক পদ্ধতি সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্ত প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দেন। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে তা বাস্তবায়ন ও আন্তর্জাতিক মান সনদ অর্জনে সহায়তা করা হয়।
কী এই ওএইচএসএএস
আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এই ওএইচএসএএস। কোনো প্রতিষ্ঠানকে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি চিহ্নিত সহায়তা করে এ পদ্ধতি। পরে দুুুুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কমিয়ে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কিত লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে।
যেভাবে কাজ করে
সুফল
মৃত্যু বা অক্ষমতাজনিত সম্ভাব্য দুর্ঘটনা হ্রাস পায়
মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস পাবে
লিগ্যাল ও রেগুলেটরি শর্তসমূহ প্রতিপালিত হবে
দুর্ঘটনাজনিত সময়ের অপচয় হ্রাস করে
অব্যাহত উৎপাদনের ফলে হারানো রাজস্ব ফিরে আসবে
নিয়ন্ত্রক, গ্রাহক ও জনসাধারণের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির একটি উন্নত ভাবমূর্তি তৈরি হবে
স্বাস্থ্য ও সুরস্কা সম্পর্কিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ধারাবাহিক উন্নতি নিশ্চিত হবে
স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নীতিমালা আরও বেশি সুবিন্যস্ত হবে
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ তৈরির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা
বৃদ্ধি পাবে
যাদের সহায়তা নেওয়া হয়
এনপিও (ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন), এপিও (এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন), বুয়েটসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠানের সদস্যসহ সব সেক্টরের ওএইচএসএএসবিষয়ক অভিজ্ঞ ও উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষকের সহায়তায় এসএমই ফাউন্ডেশন এ কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করে।
যারা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারেন
দেশের প্লাস্টিক, চামড়া, হালকা প্রকৌশল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকসসহ অন্য সব সেক্টরের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তারা এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে থাকেন।
কয়েকটি ধাপ
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে হবে রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত এসএমই ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে।
* এসএমই ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট অবলম্বনে
রতন কুমার দাস