নিজস্ব প্রতিবেদক: অগ্নিকাণ্ডে মিরপুরের চলন্তিকা বস্তির ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি করে দিয়ে সরকার পুনর্বাসন করবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে এসে এখানে নামকাওয়াস্তে রিলিফ দেওয়ার নামে লিপ সার্ভিস দিয়েছেন, বক্তৃতা করেছেন, দোষারোপ করে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে বিষোদ্গার করেছেন। যে এখান গরিব দুঃখীদের পাশে সবসময় থাকে, তার বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি আমরা এ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যত দিন সাহ্যয্যের দরকার, ত্রাণের দরকার, পুনর্বাসন পর্যন্ত … শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের পাশে আছে।
গত শুক্রবার রাতে তিন ঘণ্টার আগুনে পুড়ে যায় মিরপুর-৭ নম্বরের চলন্তিকা বস্তির কয়েকশ’ ঘর। এতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বস্তিবাসীদের সাহস দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা নিজেদের অসহায় ভাববেন না, শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছেন। একদিকে সারা দেশে ডেঙ্গু আতঙ্ক, এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ড এ এলাকার মানুষের মধ্যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট নিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে আমরা অবহিত।
বিএনপি মহাসচিবের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা কথায় বিশ্বাস করি না, কাজে বিশ্বাস করি। এ মানুষ যারা ঘরবাড়ি, সহায়-সম্বল হারিয়েছে, তারা কথা শুনতে চায় না, ভাষণ শুনতে চায় না। তারা সাহায্য চায়, পুনর্বাসন চায়। তারা বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। আমরা সেই ব্যবস্থা করব। মির্জা ফখরুল সাহেব এখানে এসে বিষোদ্গার করে গেছেন। কী নিয়ে এসেছেন, কী সাহায্য নিয়ে এসেছেন? শুধু বক্তব্য দিয়ে গেছেন।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে প্রসঙ্গে কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি, দেড় বছরে দেড় মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। এখন দেশের জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করবে। আদালতে ব্যর্থ, রাজপথে ব্যর্থ। এখন বিদেশি দূতাবাসে এখানকার কূটনীতিকদের কাছে বারবার নালিশ করছে। এখন নাকি জাতিসংঘেও ধরনা দেবে। যারা দেশের জনগণের সমর্থন লাভে ব্যর্থ, তাদের বিদেশে গিয়ে নালিশ করা ছাড়া আর কোনো অবলম্বন নেই। সে জন্য অসহায়ের মতো বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করবে। শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘের দ্বারস্থ হচ্ছে। রাজনীতিতে বিএনপি যে কত দেউলিয়া, সেটা প্রমাণ হয়েছে।