Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 3:47 am

অগ্নিঝুঁকি এড়াতে ভৈরব নদে ৬টি পানির ফিল্টার স্থাপনের দাবি

 

প্রতিনিধি, যশোর: অগ্নিঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে যশোরের ভৈরব নদের কাটেরপুল থেকে দড়াটানা ব্রিজ পর্যন্ত ৬টি স্থান চিহ্নিত করে পানির ফিল্টার স্থাপন করতে জেলা প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন যশোরের ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার যশোর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির আয়োজনে অগ্নিনির্বাপক প্রস্তুতিবিষয়ক এক সভায় ব্যবসায়ীরা এ দাবি জানান।

যশোর চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শাহীনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আবরাউল হাছান মজুমদার।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑযশোর জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক রফিকুল হাসান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যশোরের উপসহকারী পরিচালক দেওয়ান সোহেল রানা প্রমুখ। সভায় জেলার ৪৩ জন্য ব্যবসায়ীকে আহ্বান করা হলেও, সেখানে ২৩ জন ব্যবসায়ী অংশ নেন।

সভার সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে গত কয়েক দিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকার ও প্রশাসন বেশ উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় চলতি রমজান মাসে যশোরে এ ধরনের ঘটনার যাতে কোনো সূত্রপাত না হয় সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি থাকার জন্য সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার যশোরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ সভা।

সভায় জেলা প্রশাসক উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, যত্রতত্রভাবে পুকুর ভরাট করার কারণে যশোর শহরে আজ অগ্নিনির্বাপকের পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেসব ভবনে বিকল্প কোনো সিঁড়ির ব্যবস্থা নেই। এসব বিষয়ে ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাজার শহরের পানির সোর্স যেখানে আছে, সেখানে যাতে গাড়ি সহজে আসা-যাওয়া করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় অধিকাংশ বক্তাদের মতামতে যশোর বড় বাজারের অগ্নিঝুঁকির কথা উঠে আসে। এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, বড়বাজার সংলগ্ন মার্কেটগুলোয় চলাচলের রাস্তাগুলো অত্যন্ত সীমিত। তারপর এসব সড়ক দিয়ে রিকশা-ইজিবাইক এমনকি পিকআপভ্যান পর্যন্ত ঢুকে পড়ে। এ অবস্থায় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া বড় বাজারের পাশ দিয়ে ভৈরব নদ চলে গেলেও, সেখান থেকে পানি ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। বিপুল অর্থ ব্যয় করে ভৈরব খনন করা হলেও, আজও সেটি স্রোতস্বিনী রূপ নেয়নি। ব্যবসায়ীরা বলেন, অগ্নিঝুঁকি এড়াতে দ্রুত ভৈরব নদের কাঠের পুল থেকে দড়াটানা ব্রিজ পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে এই অংশে অন্তত ৬টি পানির ফিল্টার স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আবরাউল হাছান মজুমদার এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে কী করা যায়, সেটি দেখা হবে বলে জানান।

সভায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যশোরের উপসহকারী পরিচালক দেওয়ান সোহেল রানা ব্যবসায়ীদের অগ্নিঝুঁকি এড়াতে তাদের প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণের উপকরণ ও প্রযুক্তি রাখার জন্য আহ্বান জানান।