অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের বোনাস লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ব্যাংকটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৮ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পেল। অনুমোদিত বোনাস শেয়ারের জন্য আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটি পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর জন্য এ বোনাস শেয়ার দেবে।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১৭ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৪ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৮ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৪ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৩৭ পয়সা।

কোম্পানিটির ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯২০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার। ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বিমা খাতের কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৮৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৭২ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯৮ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭৮ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ শতাংশ বা ৪ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৯ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২১ লাখ ১১ হাজার ৭৮০টি শেয়ার এক হাজার ৩০৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৫৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০