দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ মেগাপ্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণে জড়িয়ে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের অগ্রণী ভূমিকা। বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেয়ার পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে এগিয়ে আসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যাংকটি। এর ফলে এক সময়ের চরম অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলকে বদলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন তর তর করে এগিয়ে চলেছে।
শুধু তা-ই নয়, দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকারের নেয়া নানামুখী মেগাপ্রকল্পে অর্থায়ন করেছে অগ্রণী ব্যাংক। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারেও অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। এর ফলে ওই রাস্তায় জনদুর্ভোগ কমেছে। ১৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে এই ব্যাংকের অর্থায়ন রয়েছে, যেখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে দুই হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে অবদান রেখে জাতির পিতার রেখে যাওয়া নামের গুরুত্ব ধরে রাখার চেষ্টা করছে অগ্রণী ব্যাংক।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মাণে অগ্রণী ব্যাংক একমাত্র বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহকারী। এ পর্যন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণে এ ব্যাংক এককভাবে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করেছে; যেখানে দরকার হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যূনতম সহযোগিতা। দেশে প্রথম পিপিপির আওতায় নির্মিত ১১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে (যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার) বিনিয়োগ করার সাহসী পদক্ষেপও নেয় ব্যাংকটি।
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে সরকারের অন্যতম নির্বাচনী ইশতেহার ছিল শহর থেকে গ্রামে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্টে এক হাজার ৭১৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। বর্তমানে এসব কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দুই হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াট। এ ছাড়া পুরোনো অবস্থান থেকে সরে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চালু করা হয়েছে ঋণের নিত্যনতুন প্রডাক্ট। এই সময়ে ব্যাংকটি কমপক্ষে ২৫টি নতুন লোন প্রডাক্ট চালু করেছে। যুগোপযোগী করেছে নতুন প্রডাক্ট। পাশাপাশি মনোযোগ দেয় করপোরেট গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার দিকে। করপোরেট গ্যারান্টি এবং সিন্ডিকেট ব্যবস্থার মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় অঙ্কের ঋণ প্রদান করে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তাতে অগ্রণী ব্যাংক সহযোগিতা করেছে। আমরা সে সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, সেতু তৈরিতে যত বিদেশি মুদ্রা প্রয়োজন হবে, অগ্রণী ব্যাংক একাই তা সরবরাহ করতে পারবে। পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে ডলারের চাহিদা মেটাতে আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমঝোতা চুক্তি হয়। এর অধীনে পদ্মা সেতুতে যত ডলার প্রয়োজন হবে, তা বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সরবরাহ করবে। কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে এক ডলারও নিইনি। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় থেকে সব ডলারের জোগান দিয়েছি।’ বিজ্ঞপ্তি