নাসির উদ্দিন : অটিজম সম্পর্কে বাংলাদেশে সাধারণ জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকাংশে নেতিবাচক। অনেকে বিষয়টি সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ বলেও মনে করে। অটিজম শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘অটোস’ থেকে এসেছে। এর অর্থ স্বয়ং বা স্বীয় বা নিজ। আর ইংরেজি অটিজমের বাংলা অর্থ আত্মসংবৃতি বা মানসিক রোগবিশেষ। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা অস্বাভাবিকভাবে নিজেদের গুটিয়ে রাখে। এজন্য এটিকে অটিজম নামকরণ করা হয়েছে।
অটিজম হলো মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশজনিত অসুবিধা, যাকে সমন্বিতভাবে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বা এএসডি বলা হয়। স্পেকট্রাম বলতে অটিজম থাকা শিশুর নানা লক্ষণ, দক্ষতা এবং প্রতিবন্ধতার পর্যায়ে অথবা সীমাবদ্ধতা ব্যাপকভাবে বোঝায়, যা একটি অটিজম আক্রান্ত শিশুর মাঝে থাকতে পারে। এটা স্বল্প মাত্রা থেকে শুরু করে গুরুতর মাত্রায় হতে পারে।
অটিজম আছে এমন শিশুদের সামাজিক ও যোগাযোগ স্থাপনের দক্ষতা স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী বৃদ্ধি পায় না। অভিভাবকরাই সর্বপ্রথম শিশুর মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করে। এই বয়সের অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে কিছু আচরণ তুলনা করলে অসঙ্গতিটা সহজেই চোখে পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অটিজম থাকা শিশুদের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যতিক্রম বলে মনে হয়। অনেক শিশু তাদের ১ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কোনো একটি বস্তুর প্রতি অত্যধিক আসক্ত হয়, চোখে চোখে তাকায় না এমনি আদান-প্রদানমূলক খেলায় অংশ নিতে চায় না। বাবা-মায়ের সঙ্গে আধো আধো কথা বলে না। কিছু কিছু শিশু প্রথম ২-৩ বছর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে। কিন্তু এর পর থেকে অন্যদের বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, নীরব হয়ে যায় এবং সামাজিক উদ্দীপনায় প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে অথবা প্রতিক্রিয়াহীন থাকে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, অটিজম আছে এমন শিশুরা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহƒত স্বাভাবিক সামাজিক আবেগীয় ইঙ্গিতগুলো বুঝতে পারে না। কারণ তারা স্বাভাবিক শিশুদের মতো সামাজিক উদ্দীপকগুলো লক্ষ করে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অটিজম আছে এমন শিশুরা তাদের সামনে কেউ কথা বললে তার চোখের দিকে না তাকিয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে, যা সাধারণ শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। অটিজম আছে এমন শিশুরা সাধারণ প্রচলিত সামাজিক ইঙ্গিতগুলো খেয়াল করে না বা ভুল বোঝে। তারা অন্যদের অঙ্গভঙ্গি, মুখের ভাব, অভিব্যক্তি এবং অন্যান্য অমৌখিক যোগাযোগ বুঝতে পারে না এবং সঠিকভাবে সাড়া দিতে পারে না।
অটিজমের দুটি দুর্বল দিক হলো ‘রেট সিনড্রোম’ এবং চাইল্ডহুড ডিসইন্টিগ্রেসন ডিজঅর্ডার, যা মানসিক বিকাশকে ব্যাহত করে। প্রতি ১০ থেকে ২২০০০ মেয়ের মধ্যে মাত্র একজনের রেট সিনড্রোম দেখা যায়। অপরদিকে এক লাখ অটিজম থাকা শিশুদের মধ্যে সর্বাধিক ২ জনের মধ্যে চাইল্ডহুড ডিসইন্টিগ্রেসন ডিজঅর্ডার দেখা যায়। ‘রেট সিনড্রোম’ সাধারণ মেয়েদের মধ্যে দেখা যায়। অপরদিকে চাইল্ডহুড ডিসইন্টিগ্রেসন ডিজঅর্ডারের প্রকাশ মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে বেশি পরিলক্ষিত হয়। অটিজম স্পেকট্রাম নির্ণয় করা হয় দুই ধাপ প্রক্রিয়ায়। প্রথম ধাপে একজন শিশু চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সুস্থ শিশু চেকআপে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ পর্যবেক্ষণ করা হয়। যেসব শিশুর বিকাশগত সমস্যা শনাক্ত হয় তাদের অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। দ্বিতীয় ধাপে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অন্যান্য প্রফেশনালদের সমন্বয়ে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়, যাতে শিশুর অটিজম বা অন্য কোনো বিকাশজনিত সমস্যা আছে কি না, তা নির্ণয় করা যায়।
অটিজম থাকা শিশুর মাঝে আরও কিছু প্রতিকূলতা অবস্থা থাকতে পারে সেটি হলো ইন্দ্রিয়গত সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, খিঁচুনির সমস্যা এবং পেটের সমস্যা। অটিজম সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি। তবে অটিজমের দ্রুত চিকিৎসা, যথোপযোগী স্কুল শিক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং সঠিক স্বাস্থ্যসেবা একটি শিশুর অটিজমের সমস্যাগুলো অনেক হ্রাস করে, শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও নতুন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সেটা হতে পারে প্রারম্ভিক প্রশিক্ষণ কৌশল, ভাষা এবং যোগাযোগ, এবিএ ভিত্তিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও অন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক নির্ভর প্রশিক্ষণ কৌশল।
অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের চিকিৎসা এবং শনাক্তকরণের উন্নয়নে সাম্প্রতিক অনেকগুলো গবেষণায় অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের প্রাথমিক সংকেতগুলো শনাক্ত করার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এসব গবেষণার উদ্দেশ্য শিশুদের আরও অল্প বয়সে রোগ নির্ণয় চিকিৎসকদের সহায়তা করা যাতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা দ্রুত পেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ অটিজমে স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে মাথার দ্রুতবর্ধন। শিশুর প্রথম মাসগুলোতে অস্বাভাবিক মস্তিষ্কের বৃদ্ধি অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। এই মতবাদ থেকে ধারণা করা যায়, বেড়ে ওঠার উপাদানগুলো যা মস্তিষ্কের সঠিক বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তার জেনেটিক অসঙ্গতি অটিজমে পরিলক্ষিত মস্তিষ্কের অস্বাভাবিকতাগুলোর কারণ। শিশুর মাথার আকস্মিক ও দ্রুত বৃদ্ধি একটি প্রাথমিক সংকেত হতে পারে, যার সাহায্যে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের দ্রুত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা বা সম্ভাব্য প্রতিরোধ করা যেতে পারে। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার চিকিৎসার গবেষণার অনেকগুলো পদ্ধতিকে নিরীক্ষা করা হয়েছে। যেমন-একটি কম্পিউটারভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের শিশুকে মুখমণ্ডলের ভাবভঙ্গি/অভিব্যক্তি সঠিকভাবে সৃষ্টি করা ও সাড়া দেয়া শেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে, ফ্র্যাজাইল এক্স সিন্ড্রোম শিশুদের কার্যক্ষমতা বা ব্যবহারিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি ওষুধ, শ্রেণিকক্ষ ও দৈনন্দিন ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী নতুন নতুন সামাজিক ইন্টারভেশন এবং যেসব শিশু অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের ঝুঁকিতে আছে তাদের ডিজঅর্ডার সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা কমাতে বা প্রতিরোধ করতে একটা ইন্টারভেশন যা অভিভাবক অনুসরণ করতে পারে।
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর/ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে থেকে নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে সরকারের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। যেমন-অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা ও সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় ২০১৩ সালে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এবং বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনটির ফলে দেশের বিদ্যমান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কিংবা দুর্ঘটনার ফলে পঙ্গুত্ববরণকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
সরকার অটিজমে আক্রান্তদের কল্যাণে বদ্ধপরিকর। তাই রাজধানীতে অটিজম সংক্রান্ত অনেকগুলো চিকিৎসা সহায়তাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (আইপিএনএ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, চাইল্ড গাইডেন্স ক্লিনিক, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, প্রয়াস বিশেষায়িত স্কুল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ/মনোরোগবিদ্যা বিভাগ সে প্রচেষ্টারই প্রতিফলন। তাছাড়া সারাদেশে জেলা সদর হাসপাতাল/উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স; সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও বিশেষায়িত স্কুল, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে এ সংক্রান্ত সেবা দেয়া হয়। সরকারের পাশাপাশি সূচনা ফাউন্ডেশন, প্রয়াস, সোয়াক, সিডিডি, পিএফডিএ, স্কুল ফর গিফটেড চিলড্রেন, সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব দি ইন্টেলেকচুয়ালি ডিজঅ্যাবল (সুইড) বাংলাদেশ, সিড ট্রাস্ট, অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, বিউটিফুল মাইন্ড, নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন, এফএআরইসহ আরও অনেক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদার, সমাজ হিতৈষী ব্যক্তি, অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজিঅ্যাবিলিটিসের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের বিকাশে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রাথমিক শনাক্তকরণ, মূল্যায়ন এবং দ্রুত হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্রে একটি করে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। ওই ১০৩টি কেন্দ্র থেকে অটিজম সমস্যাগ্রস্ত শিশু/ব্যক্তিদের নিন্মোক্ত সেবা দেয়া হচ্ছে। সেবাগুলো হচ্ছে শনাক্তকরণ, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি, অডিওমেট্রি, অপটোমেট্রি, সাইকো সোস্যাল কাউন্সেলিং, গ্রুপ থেরাপির মাধ্যমে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ এবং অভিভাবকদের কাউন্সেলিং।
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে ২০১০ সালে একটি অটিজম রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সেন্টার থেকে অটিজম বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিবর্গকে বিনামূল্যে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের থেরাপি সেবা, গ্রুপ থেরাপি, দৈনন্দিন কার্যবিধি প্রশিক্ষণসহ রেফারেল ও অটিজম সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের পিতা-মাতাদের কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১০ সালে চালু হওয়ার পর থেকে জুন-২০২১ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৬৪৫টি সেবা অটিজম সমস্যাগ্রস্ত শিশু ও ব্যক্তিকে বিনা মূল্যে ম্যানুয়াল ও ইনস্ট্রুমেন্টাল থেরাপি সার্ভিস দেয়া হয়েছে।
২০১১ সালের অক্টোবর, ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে একটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম চালু করা হয়। পরবর্তী সময় ঢাকা শহরে মিরপুর, লালবাগ, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী, ৬টি বিভাগীয় শহরে ৬টি (রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট) এবং গাইবান্ধা জেলায় ১টিসহ মোট ১১টি অটিজম স্পেশাল স্কুল চালু করা হয়েছে। ওই স্কুলগুলোতে অটিজম ও এনডিডি সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের অক্ষর জ্ঞান, সংখ্যা, কালার, ম্যাচিং, এডিএল, মিউজিক, খেলাধুলা, সাধারণ জ্ঞান, যোগাযোগ, সামাজিকতা, আচরণ পরিবর্তন এবং পুনর্বাসন প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়। এসব স্কুলে চলতি শিক্ষাবর্ষে মোট ১৪৭ জন অটিজম সমস্যাগ্রস্ত শিশু ছাত্র-ছাত্রী বিনা খরচে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে।
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতি বছর অটিজম সমস্যাগ্রস্ত শিশুদের পিতা-মাতা/অভিভাবক ও কেয়ার গিভারদের বিভিন্ন জেলা/ উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ে ৯৪২ জন অটিজম ও এনডিডি সমস্যাগ্রস্ত শিশুর অভিভাবক/পিতা-মাতা/ পরিচর্যাকারীর দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যবস্থা, আচরণগত সমস্যা, সাধারণ শিক্ষা ও সামাজিকতাসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯০ জন অভিভাবক/পিতা-মাতা/ পরিচর্যাকারীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
অটিজম আক্রান্তদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখে তাদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তাদের সফল, ক্ষমতায়িত ও কর্মক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত করতে আমাদের সমন্বিত ও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। অটিজম আক্রান্তদের সমাজে জায়গা করে দিতে হবে, যাতে তারা তাদের অবদান রাখতে পারে। অন্যথায় সমাজে বড় ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হবে। আর সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের মতো সংবেদনশীল ব্যক্তিত্ব যখন এর হাল ধরছেন তখন এখানে আমাদের সফলতা নিশ্চিত এ আশা আমরা করতেই পারি।
পিআইডি নিবন্ধ