অটোনোমাস ড্রাইভিং মোবাইল নেটওয়ার্ক এনেছে হুয়াওয়ে

ফাইভজি নেটওয়ার্কের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল হুয়াওয়ে। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি ‘প্রাক-এমডব্লিউসি ২০১৯’ ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটি তাদের অটোনোমাস ড্রাইভিং মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির কয়েকটি সল্যুশন প্রকাশ করেছে। শক্তিশালী কম্পিউটিং ক্ষমতাসম্পন্ন এমবিবি অটোমেশন ইঞ্জিন (এমএই) ও বিটিএস-৫৯০০ সিরিজ বেস স্টেশনসহ বেশ কয়েকটি সল্যুশন এখানে প্রদর্শন করা হয়।
নতুন এ সল্যুশনগুলো অপারেটরদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অটোমেশন অর্জন করতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে সর্বোত্তম কার্যক্ষমতা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করবে। রিসোর্স বাড়ানোর পাশাপাশি এনার্জি খরচ কমাতে ও চমৎকার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। সর্বোপরি ফাইভজি অবকাঠামো স্থাপন আরও দ্রুততর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে সল্যুশনগুলো।
হুয়াওয়ের এমএই ও বিটিএস-৫৯০০ সিরিজের বেস স্টেশনগুলো আরও শক্তিশালী কম্পিউটিং ক্ষমতাসহ সব পরিস্থিতিতে অটোমেশন নিশ্চিত করবে। ফলে ১০ গুণ উন্নত কার্যক্ষমতা ও রক্ষণাবেক্ষণ, ৩০ গুণ উন্নত ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ও ৩০ শতাংশ এনার্জিসাশ্রয় সম্ভব হবে।
হুয়াওয়ে ওয়ারলেস সল্যুশনের চিফ মার্কেটিং অফিসার পিটার ঝু বলেন, অটোমেশন হলো ওয়ারলেস ইন্ডাস্ট্রি উন্নয়নের একটি নতুন ক্ষেত্র। আমরা বেতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে অটোমেশনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় মোবাইল নেটওয়ার্ক আরও উন্নত হবে। আমরা অনেক অপারেটরকে সহযোগিতা করছি। হুয়াওয়ের অটোমেশন সল্যুশনগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল আনতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে থ্রিজি ও ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০০ মিলিয়নে পৌঁছেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ৫০০ মিলিয়ন ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পৌঁছাতে মাত্র তিন বছর লাগবে।
আজ ‘এমডব্লিউসি ২০১৯’ শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আরও তথ্যের জন্য, ভিজিট করুন িি.িযঁধবির.পড়স/ সপি২০১৯ ওয়েবসাইটটি।

হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা হুয়াওয়ের উদ্দেশ্য। গ্রাহককেন্দ্রিক নতুনত্ব ও উম্মুম ক্ত অংশীদারিত্বের দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি একটি সম্পূর্ণ আইসিটি সমাধান পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সুবিধা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০