Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 11:32 pm

অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়তে হবে গ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়তে হবে। এজন্য তাদের পুঁজির জোগান নিশ্চিত করা জরুরি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে, তার অন্তত ৭০ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বিতরণ করতে হবে।

গতকাল ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। ‘পরিবেশবান্ধব ও সবুজ প্রকৌশলভিত্তিক উদ্যোক্তা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের উদ্যোক্তা অর্থনীতি ক্লাব আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, সিকিউরা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং পদ্ধতিতে পুনর্গঠন করতে হবে। এখন গ্রামের উদ্যোক্তারা যেন ঋণ পান, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উদ্যোক্তা তৈরির বিকল্প নেই। এজন্য শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনসহ উদ্যোক্তাবিষয়ক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির ওপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে।

অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, বিশ্ব চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এই শিল্পবিপ্লব পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শ্রমশক্তির সঠিক ব্যবহার এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে নজর রাখতে হবে।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ অধিকাংশ জনসংখ্যা তরুণ ও যুবক। এই শ্রমশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। তারা যেন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এজন্য শিক্ষাব্যবস্থায় সেই কারিকুলাম তৈরি করতে হবে।