শেয়ার বিজ ডেস্ক: তেল ও গ্যাস রপ্তানি করে এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত আয়ের আশা করছেন রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী আন্তুন সিলুয়ানভ। খবর: আল জাজিরা।
রুশ অর্থমন্ত্রীর আশা, নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও জ্বালানি খাতে চলতি বছর এই অতিরিক্ত অর্থ আয় করবে তার দেশ। এই লভ্যাংশের একটি অংশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সহায়তার জন্য পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। গত শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা তেল ও গ্যাস বেচে অতিরিক্ত এক ট্রিলিয়ন রুবল (রাশিয়ার মুদ্রা) আয়ের আশা করছি।
ইউক্রেনে হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান ও তেলের বড় কিছু ক্রেতা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মস্কোর ওপর আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা চ‚ড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইউরোপের তেল পরিশোধনকারী কিছু কোম্পানিও এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেছে।
চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন ঘোষণা করেন, ইইউর সদস্যদেশগুলো যাতে ২০২২ সালের পর রাশিয়ার তেল না কেনে, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গত মার্চে ইইউ এক বছরের মধ্যে গ্যাস আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর জন্য অঙ্গীকার করে। আরও কী করা যায়, তা নিয়ে জোটের মধ্যে আলোচনা চলছে।
তবে এর মধ্যেই রাশিয়া থেকে অতীতের তুলনায় বেশি তেল কিনছে চীন। পশ্চিমা ক্রেতারা তেল কেনা বন্ধ বা কমিয়ে দেয়ায় যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পরে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া। দেশটি যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করত, যার অর্ধেকের বেশি যেত ইউরোপের দেশগুলোয়।
নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও ইইউতে জীবাশ্ম জ্বালানি বিক্রি করে রাশিয়া তার মাসিক আয় প্রায় দ্বিগুণ করেছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার এ তথ্য দিয়েছে।