নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা নিতে অনলাইনে সক্ষমতার চেয়ে বেশি নিবন্ধন হওয়ায় মোবাইল ফোনে এসএমএস পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
যেসব কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে সেসব কেন্দ্রের ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি নিবন্ধন করা হয়েছে। এ কারণে এসএমএস পেতে সমস্যা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছে জানিয়ে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সমাধান করতে কিন্তু বাস্তবতা হলো একটি কেন্দ্রে এক দিনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকা দেয়া যায়। তারচেয়ে বেশি টিকা দিতে গেলে হয়তো আমাদের অনেক কিছু আপোস করতে হবে।
আর সেখানে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি রয়েছে, তবে সেসব সমস্যা সমাধান করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, শিগগির আমরা আশার বাণী শোনাতে পারব।
দেশের টিকা প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সিনোফার্মের সঙ্গে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের যে চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশে টিকা প্রক্রিয়াজাত হবে সে অনুযায়ী। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। তারা তিন মাসের মতো সময় চেয়েছিলেন। পুরো কাজ গুছিয়ে আনতে সময় লাগবে। আমরা আশা করছি, তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক তথ্য পাব। গত ৩০ দিনে সংক্রমণের হার নি¤œমুখী। তবে সেটা ধরে রাখার জন্য সচেতনতা দরকার।
গত সাত দিনে শেষের দিকে এসে কভিডে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে স্বস্তিতে থাকা যাবে জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, গত চার দিন ধরে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে আছে। সংক্রমণের হার আরও কমে গেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া আরও সহজ হবে।