Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 3:51 pm

অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ায় চার লঞ্চ মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির ঈদ কড়া নাড়ছে দরজায়। এ কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এরই মধ্যে, গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে চার লঞ্চ মালিককে পাঁচ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মাদারীপুরের ডিসি ড. রহিমা খাতুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করেন। এছাড়া মাস্ক না পরায় দুই যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

জানা যায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও মাস্ক না পরার কারণে দুই যাত্রীকে সময়দণ্ড দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করার কারণে চারটি লঞ্চের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় ডিসি ড. রহিমা খাতুন ঘাট এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করেন। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে লঞ্চ ও ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন তিনি।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। সরকারের নির্দেশনা মানাতে ঘাট এলাকায় কঠোর অবস্থানে আছে প্রশাসন। লঞ্চে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশ রয়েছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। আইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোরবানি উপলক্ষে পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ঘাটে যাতে পশুবাহী ট্রাক ও গরু ব্যবসায়ীদের হয়রানি না হতে হয় সে ব্যাপারে সার্বিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে।

ড. রহিমা খাতুন জানান, এই মহামারিতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল হয়েছে। ঢাকা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। সরকারের নির্দেশনা মানাতে ঘাট এলাকায় কঠোর অবস্থানে আছে প্রশাসন। আইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া এবার লঞ্চে মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিন্ডউটিএ)। গতকাল বিআইডবিন্ডউটিএয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

মিজানুর রহমান বলেন, যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা দেয়া ও বেশি যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআইডবিন্ডউটিএ কর্তৃপক্ষ ঈদের সময়টিতে লঞ্চে মোটরসাইকেল না ওঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাত্রীদের এই বিষয়ে সহযোগিতা করার কথাও বলা হয়। যেন লঞ্চ ঘাটে গিয়ে কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির তৈরি না হয়।