ক্রীড়া প্রতিবেদক: ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্টেও বেশ ধারাবাহিক বাংলাদেশ। গত দেড়-দুবছর তারই প্রমাণ রেখেছে টাইগাররা। সে ধারাবাহিকতা এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও রাখতে চায় মুশফিকুর রহিমের দল। অতীত ভুলে প্রোটিয়াদের মাটিতে নতুন শুরুর আশায় হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এখন পর্যন্ত চার টেস্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচগুলোয় টাইগাররা হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। এবার সেই স্মৃতি ভুলে নতুন কিছু করতে চায় টিম টাইগার্স। সে লক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পচেফস্ট্রমের সেনওয়েস পার্কে প্রথম টেস্টে নামছে মুশফিকুর রহিমের দল। এখন পর্যন্ত এ মাঠে টেস্ট হয়েছে একটি। যে ম্যাচটি হয়েছিল ২০০২ সালে। সে টেস্টেও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। তখন তিন দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা।
২০০২ সালের চেয়ে এখনকার বাংলাদেশ দলের পার্থক্য অনেক। বলা যায়Ñসময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশ পরিণত টাইগাররা। সে ছাপটা গত কয়েক বছর মাঠের ক্রিকেটে যে কোনো ফরম্যাটেই প্রমাণ দিয়ে আসছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তাইতো এবার ঘরের মাঠে মুশফিকদের বেশ সমীহ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে সব সময় বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন পেসাররা। সে চিন্তা থেকে টাইগার স্কোয়াডে রয়েছেন ৫ পেসার। ভালো কিছু করতে তাদের দিকেই চেয়ে আছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই টাইগারদের। প্রস্তুতি ম্যাচে কম-বেশি সবাই রান পেয়েছেন। সফরকারীদের চিন্তা ছিল তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের ইনজুরি। মূল সিরিজ শুরুর আগেই এ দুই ওপেনার সুস্থ হয়ে স্কোয়াডে ফেরায় মনোবল চাঙা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু একটিতেও জেতেনি টাইগাররা। অন্যদিকে ৮টিতে জিতেছে প্রোটিয়ারা। বাকি দুই ম্যাচ ‘ড্র’ হয়েছিল। দুদলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে। বৃষ্টির কারণে দুই ম্যাচের সিরিজ হয়েছিল ড্র।
আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজে নেই সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশনের সঙ্গে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের না থাকার চ্যালেঞ্জও যোগ হয়েছে টাইগার শিবিরে। তাতে অবশ্য দমে যাচ্ছে না বাংলাদেশ। সবকিছু পেছনে ফেলে সফরকারীদের লক্ষ্যÑকীভাবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো কিছু করা যায়। আপাতত সে লক্ষ্য নিয়েই প্রোটিয়া সফরের কঠিন মিশনে নামছেন মুশফিকুর রহিমরা।
বাংলাদেশ দল : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল (সহঅধিনায়ক), সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শুভাশিস রায়, মুমিনুল হক।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: ফাফ ডু-প্লেসি (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, টেম্বা বাভুমা, টিউনিস ডি ব্রæইন, কুইন্টন ডি কক, ডিন এলগার, কেশভ মহারাজ, এইডেন মার্করাম, মর্নে মর্কেল, ডুয়ানে অলিভিয়ের, ওয়েইন পার্নেল, আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো, কাগিসো রাবাদা।
Add Comment