Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 8:54 pm

অনলাইনে আয়ের অন্যতম মাধ্যম

ভাবুন তো একবার, যেকোনো প্রয়োজনীয় ফাইল বা সফটওয়্যার অনলাইনে আপলোড করে রাখলেন এবং তা অন্য কেউ ডাউনলোড করল এতে অনলাইনে আপনার উপার্জন হবে। অবাক হচ্ছেন? বিস্ময়ের অবকাশ নেই। আসলেই অনলাইনে ফাইল আপলোড করে আয় করা সম্ভব।

ফাইল আপলোড করে আয় করাকে পিপিডি বা পেইড পার ডাউনলোড বলা হয়। পিপিডি নিয়ে কাজের অনেক সাইট রয়েছে। এছাড়া সিপিএ (কস্ট পার অ্যাকশন), পিপিএস (পেইড পার সেল) প্রভৃতি নিয়েও কাজ করেন অনেকে।

পিপিডি সাইটের বিশেষত্ব হচ্ছে, কোনো কাজ না করেও অনলাইন থেকে উপার্জন করা যায়। তবে আয় বাড়ানোর জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।

আপলোডের বিষয় বাছাই করুন

আপনাকে এমন ফাইল বা সফটওয়্যার পছন্দ করতে হবে, যা অনলাইন ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন। অনলাইনে আমরা প্রয়োজনে সার্চ করি। অতএব আপনি যদি প্রয়োজনীয় ফাইল বা সফটওয়্যার অথবা ই-বুক আপলোড করেন, ভিজিটরের কাছে যার গ্রহণযোগ্যতা আছে তাহলে আপনি বেশ আয় করতে পারবেন।

মার্কেটিং: এখান থেকে কত টাকা উপার্জন করা যাবে তার পুরোটা নিজের ওপর নির্ভর করে। অনলাইনে সিপিএ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-বিষয়ক যত আয়ের পথ রয়েছে, সেগুলোতে মার্কেটিং করে আয় করতে হয়। মার্কেটিংয়ের নানা পদ্ধতি রয়েছে। অনলাইনে খুব কম ধারণা থাকলেও এসব সাইট থেকে উপার্জন করা যায় শুধু কৌশল কিংবা বুদ্ধি খাটিয়ে।

পিপিডি সাইটে কাক্সিক্ষত ফাইল আপলোড করলে একটি প্রমোশন লিংক দেওয়া হবে। এ লিংক ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে হবে। এর ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাসসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেছে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেও মার্কেটিং করা সম্ভব।

মার্কেটিং করা লিংকে গিয়ে কেউ যদি আপলোড করা ফাইলটি ডাউনলোড করে, তবেই আপলোডারের আয় হবে। ক্ষেত্রবিশেষে এর পরিমাণ প্রতি হাজার ডাউনলোডে দুই থেকে সাত ডলার হয়ে থাকে। কিছু সাইট রয়েছে যারা প্রতি হাজার ডাউনলোডের জন্য ৯ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।

কেমন আয় করা যাবে: প্রতি হাজার ডাউনলোডে কত ডলার পাবেন, সেটা নির্ভর করে কোন দেশ থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে। দেশভেদে আয় বেশি-কম হতে পারে। ধরুন একটি ফাইল এশিয়া মহাদেশের কোনো দেশ থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে, তাহলে দুই দশমিক পাঁচ থেকে তিন ডলার প্রতি হাজার ডাউনলোডে উপার্জন হবে। ইউরোপীয় কোনো দেশ থেকে যদি এক হাজার ডাউনলোড হয় তাহলে সাত ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।

অর্থ উত্তোলন: মার্কেটিং সাইটগুলো একাধিক পদ্ধতিতে পেমেন্ট করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েন, ইথিরিয়াম, লাইটকয়েন প্রভৃতি। এছাড়া অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, যেমনÑপেপাল, পাইজা, পারফেক্ট মানি, ইস্ক্রিল, নেটেলার প্রভৃতির মাধ্যমেও পেমেন্ট করে থাকে।

  রাকিবুল ইসলাম