Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 12:50 am

অনলাইনে আয়: বিটকয়েন

 

 

ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই চলবে। ঘরে বসে নানা ওয়েবসাইট ভিজিট, ক্যাপচা পূরণ, বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে বিটকয়েন আয় করতে পারবেন আপনিও। বিস্তারিত জানাচ্ছেন হাসান আদিল

বিট কয়েন হচ্ছে এক ধরনের মুদ্রা ও পেমেন্ট সিস্টেম। যার অস্তিত্ব রয়েছে শুধু অনলাইন জগতে। ২০০৮ সালের ৩১ অক্টোবর ‘সাটোসি নাকামোতো’ নামে কিছু অজ্ঞাত প্রোগ্রামার এ মুদ্রা চালু করেন। এটিকে ডিজিটাল মুদ্রা বা ভার্চুয়াল মুদ্রাও বলা হয়।

 

আয়ের উপায়

নানা বিজ্ঞাপন দেখা, ক্যাপচা পূরণ, ওয়েবসাইট ভিজিটের জন্য পেমেন্ট করে থাকে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ওয়েবসাইটে কাজ করতে হয়। ওয়েবসাইটের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ মিনিট, ১৫ মিনিট, ২০ মিনিট, এক ঘণ্টা কিংবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লক্ষ্য পূরণ করতে হয়। এর মাধ্যমেই আয় করতে পারবেন। বর্তমানে এক বিট কয়েনের বাজারমূল্য ১০০০ ইউএস ডলার। এ দর ওঠানামা করে।

 

আয় করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা

 

ই-মেইল অ্যাকাউন্ট

জিমেইল অ্যাকাউন্ট না থাকলে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিন। প্রতিটি বিট কয়েন সাইটে রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদানসহ সবকিছু সম্পন্ন হবে ই-মেইলের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে কোনো ওয়েবসাইটের অ্যাকাউন্ট নিয়ে সমস্যায় পড়লেও চিন্তার কিছু নেই রিকভারির সব তথ্য পেয়ে যাবেন ই-মেইলে। একই সঙ্গে ক্যাশ আউট, অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ-সংক্রান্ত প্রভৃতি তথ্যও আসবে আপনার দেওয়া ই-মেইলে।

 

কয়েনবেজ ওয়ালেট

নানা পেজ ভিজিট, ক্লিকের মাধ্যমে আয় করা কয়েনগুলো ক্যাশ আউট করার জন্য একটি ওয়ালেট দরকার হবে। সেক্ষেত্রে আপনি (িি.িপড়রহনধংব.পড়স) কয়েনবেজ অ্যাকাউন্ট করে নেবেন। প্রতিটি ওয়েবসাইটে পেমেন্ট সিস্টেম ও অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার ওয়ালেটের লিংক দিতে হবে। ক্যাশ আউট করার সময় আপনার দেওয়া লিংকেই চলে আসবে কয়েন।

রেজিস্ট্রেশন

ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ও কয়েনবেজ অ্যাকাউন্ট করা শেষ। এবার শুরু করে দিন আয়। আপনি গুগলের সহায়তা নিতে পারেন। সেখান থেকে খুঁজে বের করুন কোন কোন বিটকয়েন সাইট বেশি পেমেন্ট করে। এগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করুন। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর ওয়েবসাইটগুলোর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে থাকুন।

 

সতর্কতা

রেজিস্ট্রেশনের সময় অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। কারণ অনেক ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন যেন একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়। একই সঙ্গে সঠিক তথ্য দিন।

 

এক আইপি এক অ্যাকাউন্ট

প্রতিটি ওয়েবসাইটে একটি ই-মেইল আইডি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট করা যাবে। তবে একই আইপি ব্যবহার করে একটির বেশি অ্যাকাউন্ট করা যায় না অনেক সাইটে। এটা করলে আপনার মূল অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে।