শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি এটিঅ্যান্ডটিয়ের নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে প্রায় ৭৩ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। গ্রাহকদের ঠিকানা, সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরসহ পাসকোডও ডার্ক ওয়েবে প্রকাশিত হয়েছে। খবর: এপি।
তথ্য চুরি হওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রমাণ না পেলেও তদন্তের জন্য সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের আনা হয়েছে বলে জানায় কোম্পানিটি। এরই মধ্যে গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার বা রিসেট করা হয়েছে। অ্যাকাউন্টের কার্যকলাপ ও ক্রেডিট রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে সতর্ক থাকার জন্য আগেই আহ্বান জানানো হয়।
ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো ২০১৯ সাল বা তার কিছু আগের সময়ের বলে অনুমান করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন বর্তমান গ্রাহক এবং ৬৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন সাবেক গ্রাহকের তথ্য অন্তর্ভুক্ত।
তথ্যগুলোর মধ্যে গ্রাহকের পুরো নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস ও জš§তারিখও রয়েছে। যদিও তথ্য ফাঁসের ঘটনায় কোনো প্রকার আর্থিক তথ্য ফাঁস হয়নি বলে দাবি করেছে এটিঅ্যান্ডটি।
প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানায়, তথ্যগুলো তাদের নিজস্ব সিস্টেম থেকে ফাঁস হয়েছে, নাকি কোনো থার্ড পার্টি সাপ্লাইয়ারের মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে তা এখনও অস্পষ্ট।
এটিঅ্যান্ডটির ওয়ারলেস ফাইভ জি নেটওয়ার্ক পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ২৯০ মিলিয়ন বা ২৯ কোটি গ্রাহক ব্যবহার করে। দেশটির বৃহত্তম মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি এটি।
সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ট্রয় হান্ট বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, সবশেষ ফাঁস হওয়া এই ডেটা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে একটি হ্যাকিং ফোরামে প্রকাশিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এটি ২০২১ সালে প্রকাশিত একই ধরনের তথ্য ফাঁসের সঙ্গে মিল রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা হান্ট বলেন, যদি তারা এটি মূল্যায়ন করে এ বিষয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয় এবং যদি প্রভাবিত গ্রাহকদের অবহিত করতে না পেরে বছরের পর বছর পার করে দেয়, তাহলে সম্ভবত প্রতিষ্ঠানটি শিগগির ক্লাস অ্যাকশন মামলার মুখোমুখি হবে।
তথ্য ফাঁস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করা হলে এটিঅ্যান্ডটির একজন মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হননি।