নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে অনলাইন কর্মসূচি পালন করেছে ‘আমরা বাংলাদেশের নাগরিক’ নামের সংগঠন। এতে কবি, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।
অভিন্ন দাবিতে সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পোস্ট করা হয়। তাতে বলা হয়- ‘ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব কেবলমাত্র নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে তাই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহ্সান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিকের সঙ্গে আমরাও মনে করি, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে যে কয়টি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আর এ কারণেই আমরা লক্ষ্য করেছি, বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় সময় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জোরদার আন্দোলন করেছে। এই ব্যবস্থায় নাগরিকরাও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে স্বস্তি বোধ করেছেন। আমরা চাই, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হোক।’
এহ্সান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের ব্যবস্থাপনায় খারাপ নির্বাচনের যে উদাহরণ তৈরি হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি গণতন্ত্রকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং দেশকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবে। এমন নির্বাচনের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক ও কর্তৃত্ববাদী শাসনই শুধু প্রলম্বিত হতে পারে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনায় রাখলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকলীন নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নাই। এসব দিক বিবেচনায় রেখে আমরা সম্মিলিতভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
একই বিষয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি ব্রাত্য রাইসু, কবি সাখাওয়াত টিপু, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ-আল মামুন, কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ ও ইলিয়াস খান, সাংবাদিক নেতা কদের গনি চৌধুরী, চিকিৎক নেতা ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, লেখ লুনা রুশদী, গাজী তানজিয়া, আসিফ সিবগাত ভূঁইয়া, জিয়া হাসান, ফয়েজ আহমদ তৈয়ব, ফাহাম আবদুস সালাম ও প্রকাশক মাহাবুব রাহমান।