নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রতিদিন নানা অভিযোগের শেষ নেই। এসব অভিযোগ কীভাবে অনলাইনে নেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য কাজ করছে কমিশনের ইনোভেশন টিম। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ সেবাটি বিনিয়োগকারীদের জন্য চালু হতে পারে বলে বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের যাতে সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে কোনো ধরনের অভিযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিকট করতে পারে সেজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এজন্য সরকারকে একটি প্রস্তাবও দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কাজ শেষ হলে নতুন সফটওয়্যার বা ফেসবুক পেজ বা অন্য কোনো উপায়ে অনলাইনে অভিযোগ জমা দিতে পারবে বিনিয়োগকারীরা।
এ সম্পর্কে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, সরকার থেকে ইনোভেশন বা উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রমের আইডিয়া জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। সে অনুযায়ী আমরা অনলাইনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নেওয়ার আইডিয়া জমা দিয়েছি। তবে বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ নিয়ে আমাদের ইনোভেশন টিম কাজ করছে।
এর আগে বিএসইসি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশে বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা, ২০১৭ প্রণয়ন করে। আর এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনলাইনে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নেওয়ার আইডিয়া বের করে কমিশন। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের শেষ দিকে ৫ সদস্যের একটি ইনোভেশন টিম করে কমিশন। টিমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন, পরিচালক মো. আবুল হাসান, মো. মাহমুদুল হক, উপ-পরিচালক মো. কাউসার আলী এবং সহকারী পরিচালক কাজী মো. আল-ইসলাম।
বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা-২০১৭ এ বলা হয়েছে, প্রতি মাসে ইনোভেশন টিমের সভা এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
কমিশনের সেবা প্রদানের ব্যাপকতা এবং সেবা গ্রহীতার অধিক সুফল এবং উপকারিতা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা সহজীকরণের জন্য চিহ্নিতকরণ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা হচ্ছে বিনিয়োগকারীর অভিযোগ অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া-নেওয়া। এজন্য মার্চের মধ্যে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান এবং অন্য দেশের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে সেবাটি বাস্তবায়নের জন্য বাজেট প্রণয়ন এবং কমিশনের অনুমোদন নেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল বিএসইসির কমিশন ৬০০তম সভায় ক্রিডেন্স ফার্স্ট গ্রোথ ফান্ডের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন করেছে। মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এখানে উদ্যোক্তার অংশ ২ কোটি টাকা। সব বিনিয়োগকারীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। যা ইউনিট বিক্রয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে।
ফান্ডটির অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা এবং ফান্ডটির নিয়মিত বিনিয়োগ পরিকল্পনার আওতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইউনিট বিক্রি করতে পারবে।
ফান্ডের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছে ক্রিডেন্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ফান্ডটির ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে রয়েছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ।