অনলাইন ক্লাস সেমিস্টার ফি নেওয়ার ফাঁদ! বর্জনের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা টিউশন ফি মওকুফের দাবিও জানিয়েছেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য এর ব্যানারে মঙ্গলবার (৫ মে) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

নাজিফা জান্নাত প্রেরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘লকডাউনের কারণে সকল প্রকার কর্মজীবী মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ। তাদের আর্থিক অবস্থা ভীষণ খারাপ। যেখানে ঘরে দুই বেলা খাবারের নিশ্চয়তা নেই, সেখানে প্রতিদিন মিনিমাম ১০০ টাকার এমবি দিয়ে ক্লাস করা বিলাসিতা ছাড়া কিছুই নয়। যাদের এই সামর্থ্য আছে; তারা নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ক্লাসে অংশ নিতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী শহরের বাইরের, গ্রাম অঞ্চলের, প্রত্যন্ত অঞ্চলের। দুর্বল নেটওয়ার্ক সেবার ফলে যেখানে ফোনেই কথা বলা যায় না; সেখানে অনলাইন ক্লাস করাটা অকল্পনীয় চিন্তা। আর যারা কোন প্রকারে অংশ নিতে পারছেন; তারা ক্লাসের পড়া কিছুই বুঝতে পারছেন না।’

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনলাইন ক্লাস হলো সেমিস্টার ফি নেওয়ার একটি ফাঁদ। ভার্সিটিগুলো শিক্ষার্থীদের রিটেক এবং অন্যান্য ভয় দেখিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধ্য করছে; যাতে পরবর্তী সময়ে সেমিস্টার ফি আদায় করা যায়৷ বর্তমান পরিস্থিতে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা না করেই ক্লাস চালিয়ে যাওয়া ও সেমিস্টার ফি মওকুফ না করার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিণত হয়েছে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে। তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ থেকে সকল অনলাইন ক্লাস ও পরিক্ষা বর্জনের ডাক দিলাম।

এছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করেই টিউশন ফি প্রদানের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা আরো দাবি করেন, সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিস্টার টিউশন ফি মওফুফ করতে হবে, শিক্ষক ও স্টাফদের বেতন কর্তন করা যাবে না এবং করোনার পরবর্তী সময়ে কোন শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করতে হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০