নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইনে জুয়া এবং অবৈধ মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এমএলএম কার্যক্রম পরিচালনা করে তিন কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে একটি চক্র। শুক্রবার রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিট তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেনÑসাদ্দাম হোসেন মিজি, সহিদুল ইসলাম আলমগীর ও আলমগীর খান।
গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল হক বলেন, তাদের নিবন্ধিত অ্যাকাউন্টের তথ্য পর্যালোচনা করে প্রায় ৩ কোটি টাকা লেনদেন ও লেনদেন করা টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়ার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
অনলাইনে জুয়া এবং অবৈধ মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এমএলএমের কার্যক্রম সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জুয়া ও অবৈধ মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করত। বেটিং সাইট ও মোবাইল অ্যাপ পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ দুটির গঠনপ্রণালিতে প্রথমে রয়েছে সুপার অ্যাডমিন, তারপর পর্যায়ক্রমে ম্যানেজার, ভিআইপি এজেন্ট এবং সর্বশেষে ইউজার।
মূলত সুপার এডমিন ফ্রান্স থেকে ওয়েবসাইট ও অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন দেশে দেখভালের জন্য বেশ কিছু ম্যানেজার নিয়োগ করা আছে। সংশ্লিষ্ট ম্যানেজাররা কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকা টার্গেট করে সেখানে একজন এজেন্টকে অধিক কমিশনের প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করে থাকে।
এজেন্টরা মূলত ইউজার সংগ্রহে সহায়তা ও বিভিন্ন সমস্যা হলে সরাসরি ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের কাজ করে। এজেন্টরা সদস্য সংগ্রহ করে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা পিরামিড সিস্টেমে কমিশন পেয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম হোসেন এজেন্ট, সহিদুল ও আলমগীর তার সহযোগী হিসেবে কাজ করত। গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম বিভিন্ন এলাকায় থেকে ইউজার সংগ্রহ করে মোবাইল অ্যাপে অ্যাকাউন্ট তৈরি ও তাতে ডিপোজিট করতে সহায়তা করত। বিনিময়ে তিনি মোটা অঙ্কের একটি কমিশন পেতেন। ডিপোজিটকৃত টাকা ডিজিটাল হুন্ডির সহায়তায় দেশের বাইরে পাচার হতো। যার প্রভাব পড়ে দেশের সামগ্রিক রেমিট্যান্স খাতের ওপর।