নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতরের সময় অনলাইন টিকিট নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এবার এখনও পর্যন্ত সে ধরনের অভিযোগ পাইনি। গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকেই অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটতে পেরেছেন। তবে অনলাইনে কোনো ফাঁকফোকর পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল শনিবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের জন্য উন্নত মানের ট্রলি সরবরাহ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
অনুষ্ঠানে চীন থেকে আমদানি করা উন্নত মানের ৫০টি ট্রলি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
এ সময় নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, একসময় স্টেশনগুলোয় যাত্রীদের মালামাল আনা-নেওয়ায় কুলির সিস্টেম ছিল, এখন সেটা নেই। ট্রলির মাধ্যমে লাগেজ-ব্যাগ আনার জন্য উন্নত মানের ট্রলি উপহার দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী রেল মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে চান। রেল মন্ত্রণালয়েকে এবার ১৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেয়া হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে রেলে করে কক্সবাজার যাব, লাইন সম্পন্ন হয়ে যাবে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গাও যেতে পারব।
তিনি বলেন, কয়েক দিন পর ঈদুল আজহা। যাত্রীদের প্রধান চাহিদা এখন ট্রেন। এবার গার্মেন্ট কারখানায় একটা স্পেশাল ট্রেন যাবে। যারা যাবে তাদের জন্য জয়দেবপুর থেকে টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের ডুয়েলগেজ ৬০টি কোচ আসছে, আরও ১০০টি পাইপলাইনে আছে। আমাদের ডাবল লাইন এবং পদ্মা সেতু হয়ে গেলে আমাদের সক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে। তখন নিরাপদে সব যাত্রী ট্রেনের মাধ্যমে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মওলা বলেন, ৪০ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং সেক্টরে আমরা নাম্বার ওয়ান। সারাদেশে একটি মেডিকেল কলেজ, পাঁচটি নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ ১৯টি হাসপাতাল আছে আমাদের। জাতীয় প্রয়োজনে সব সেক্টরে সহযোগিতা করবে ইসলামী ব্যাংক। আজকে তারই ধারাবাহিতায় রেলওয়ে যাত্রীদের জন্য ট্রলি উপহার দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার মিজানুর রহমান ভূইয়াসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।