অনায়াস জয়ে সমতায় নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক

ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে ব্যাট-বল হাতে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। তার খেসারত অবশ্য দলটিকে দিতে হয়েছিল বড় হারে। তবে ভেঙে পড়েনি টিম সাউদি বাহিনী। গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মার্টিন গাপটিল আর জিমি নিশামের ব্যাটে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল দলটি। পরে মিশেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে ২১ রানে অনায়াসে জিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-১-এ সমতায় ফিরেছে কিউইরা।

ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে মার্টিন গাপটিল (২৮ বলে ৪১) ও জিমি নিশামের (২২ বলে ৪২) নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকটে ১৭৬ রান করে নিউজিল্যান্ড। পরে বল হাতে ১৯.৫ ওভারে ইংল্যান্ডকে ১৫৫ রানে গুটিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। স্যান্টনার নেন ২৫ রানে ৩ উইকেট। আগের ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড।

টস হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা গতকাল ভালো ছিল না নিউজিল্যান্ডের। বিপজ্জনক কলিন মানরোক (৭) দ্রুতই ফিরে যান স্যাম কারানের বলে। এরপর প্রতিপক্ষের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ছোট কিন্তু কার্যকরী জুটিতে এগোতে থাকে স্বাগতিকরা। ঝড় তোলেন মার্টিন গাপটিল। শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৮ বলে ৪১ রান করে। তার আগে সাইফার্ট (১৬) ফিরে যান অভিষিক্ত সাকিব মাহমুদ।

দ্রুত দুই উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও রস টেইলর। ১২ বলে ৩ ছয় ও এক চারে ২৮ রান করেন গ্র্যান্ডহোম। থিতু হওয়া রস টেইলর করেন ২৪ বলে ২৮ রান। এরপরই তারা ফিরে যান। তবে কিউইদের পথ হারাতে দেননি জিমি নিশাম। এ অলরাউন্ডার ৪ ছয় ও ২ চারে খেলেন ২২ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস।

২৩ রানে ৩ উইকেট নেন জর্ডান, ২২ রানে দুটি কারান।

ইংল্যান্ডের সামনে বড় লক্ষ্য দিয়ে শুরুতেই জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন টিম সাউদি। পরের ওভারে জেমস ভিন্সকে ফেরান ইশ সোদি। অধিনায়ক মর্গান চেষ্টা করেছেন প্রতি-আক্রমণের। তবে তিনটি করে ছয়-চারে ১৭ বলে ৩২ রান করে তিনিও ইশ সোদির শিকার হলে চাপ বাড়ে ইংলিশদের। যা আরও বাড়িয়ে দেন স্যান্টনার। দ্রুতই তিনি ফেরান কারানকে। তবে ইংলিশ আশার আলো জালিয়ে রেখেছিলেন ডেভিড মালান। ২৯ বলে তিনি করেন ৩৯ রান। শেষ পর্যন্ত তাকে গাপটিলের ক্যাচে পরিণত করে ফেরান শোধি। শেষদিকে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন ক্রিস জর্ডান। তবে তার ১৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।

স্যান্টনার ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৬/৮ (গাপটিল ৪১, মানরো ৭, সাইফার্ট ১৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ২৮, টেইলর ২৮, মিচেল ৫, নিশাম ৪২, স্যান্টনার ০, সাউদি ৪*; স্যাম কারান ৪-০-২২-২, মাহমুদ ৪-০-৪৬-১, জর্ডান ৪-০-২৩-৩, ব্রাউন ২-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-৪০-১, গ্রেগরি ২-০-১০-১)।

ইংল্যান্ড: ১৯.৫ ওভারে ১৫৫ (বেয়ারস্টো ০, মালান ৩৯, ভিন্স ১, মর্গান ৩২, বিলিংস ৮, স্যাম কারান ৯, গ্রেগরি ১৫, জর্ডান ৩৬, রশিদ ৪, মাহমুদ ৪, ব্রাউন ৪*; সাউদি ৪-০-২৫-২, ফার্গুসন ৪-০-৩৪-২, স্যান্টনার ৪-০-২৫-৩, সোধি ৪-০-৩৭-২, মিচেল ১.৫-০-৯-১)।

ফল: নিউজিল্যান্ড ২১ রানে জয়ী।

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা।

ম্যাচসেরা: মিচেল স্যান্টনার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০