নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ বা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী জুলাই মাসে বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আর যারা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন কিনে ফেলেছেন তাদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে তার দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হুটলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান।
অবৈধ বা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন কবে থেকে বন্ধ হয়ে যাবেÑএমন প্রশ্নে পলক বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের পাঁচ মাস সময় লাগবে। টেকনোলজি ডেভেলপ, টেস্টিং এবং এটা অপারেশন করতে হবে। হঠাৎ করে আমরা এমন কোনো নীতি চাপিয়ে দিতে চাই না, যাতে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়। এ কারণে আমরা প্রথম থেকে বলছি, অবৈধ পথে কেউ যেন ফোন না নিয়ে আসেন। অবৈধ পথে কেউ যেন ফোন ক্রয় না করেন। যাতে পরে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য আমরা একটা রিজনেবল টাইম দিচ্ছি, আগামী তিন মাসে আমরা টেকনোলজি ডেভেলপ করব, পরে দুই মাসে টেস্টিং করব। আমাদের প্রত্যাশা, জুলাই মাসের মধ্যে এটা অপারেশনাল করব। সুতরাং এ সময়ের মধ্যে যাতে সবাই সতর্ক থাকে এবং এই অবৈধ পথ পরিহার করে সঠিক পথে কেনে।
যারা অনিবন্ধিত ফোন কিনে ফেলেছেন, তাদের ফোনের কী হবে, জানতে চাইলে পলক বলেন, যারা কিনে ফেলেছেন তাদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে। এজন্যই দেরি হচ্ছে যে, নতুন ফোনের রেজিস্ট্রেশন করা আর সেকেন্ড হ্যান্ডফোনের নাম ট্রান্সফার করা।
অনিবন্ধিত ও গ্রে মার্কেটে এমন ফোনের সংখ্যা কত হতে পারেÑএ প্রশ্নে পলক বলেন, এই সংখ্যা আমি এখনও পাইনি। আমি প্রথমে জানতে চেয়েছি রেজিস্টার্ড ফোন কত, তারপরে জানতে চেয়েছি ইউজার নাম্বার কত, তারপর আমি বলতে পারব এই সংখ্যাটি কত।
গ্রে মার্কেটে অনেক কম দামে ফোন পাচ্ছি, দেশীয় অ্যাসেম্বলিং কোম্পানিগুলো ট্যাক্সের সুযোগ রেখেও বেশি দাম রাখছেÑএ বিষয়ে পলক বলেন, আমাদের যে ১৭টি অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট, তারা কিন্তু আমাকে ইস্যুগুলো বলেছেন। এরপর কিন্তু আমি জানতে পেরেছি এবং কাজ শুরু করেছি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) খুব আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছে অনিবন্ধিত ফোন যাতে গ্রে মার্কেটে না আসে, চোরাপথে না আসে, স্মাগলিং হয়ে না আসে। আমরা চেষ্টা করছি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমাদের স্থানীয় শিল্পের প্রটেকশন দেয়া এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে।
তাতে আমাদের দেশে উৎপাদিত ফোনের দাম কমে আসবেÑএ প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কমে আসবে। আমরা যখন এটা প্রটেক্ট করতে পারব, তখন আমরা প্রেশার ক্রিয়েট করতে পারব যে ৩০ শতাংশের জায়গায় যেন ৫০ শতাংশ ভ্যালু অ্যাড করে। তখনই তো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প গড়ে উঠবে। আমরা যেভাবে দেখেছি কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড গড়ে উঠেছে, একইভাবে আমাদের বাংলাদেশেও সেভাবে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং ইকো সিস্টেম গড়ে উঠবে।
