অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে কচুয়ার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুষ লেনদেন কেলেঙ্কারির ঘটনায় পুরো দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও রহস্যজনক কারণে এখনও বহাল তবিয়তেই আছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পরও এই অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে এখনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এতে সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিজ অফিসে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কচুয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে শেয়ার বিজের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটে।

শেয়ার বিজের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি বেলায়েত সুমন কচুয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার অফিসে যান। সেখানে তিনি বেলায়েত সুমনকে অফিসে বসিয়ে রেখে গেটে তালা লাগিয়ে দেন এবং ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কথা ভেবে সে সময় বেলায়েত সুমন বিষয়টি সম্পর্কে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। জেলা প্রশাসক ঘটনা সম্পর্কে জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এরই মধ্যে ইউএনও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে বলেন, শেয়ার বিজ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য। কচুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের কয়েকজন সদস্য শেয়ার বিজ প্রতিনিধির পরিচয় জেনে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কচুয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবদুর রহমান শেয়ার বিজ প্রতিনিধিকে অন্যায়ভাবে অবরুদ্ধ করার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং নিজের ভুল হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি ওখানেই শেষ করতে অনুরোধ করেন। এদিকে কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে শেয়ার বিজ প্রতিনিধিকে অবরুদ্ধ না রেখে দ্রুত গেটের তালা খুলে দিতে পরামর্শ দেন। কিন্তু হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কারও কথা না শুনে নাসির নামের এক মাদকাসক্ত সাংবাদিক ঘটনাস্থলে আসবেন বলে সময়ক্ষেপণ করেন। নাসির এসে বেলায়েত সুমনকে গালমন্দ করেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা নাসিরকে অশোভন আচরণ করতে নিবৃত্ত করেন। তবুও নাসির শেয়ার বিজ প্রতিনিধির মোবাইল ভেঙে ফেলতে চান। পরে সাংবাদিকদের বাধার কারণে নাসির দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, কচুয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিসে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিওটি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে টাকা গুনতে দেখা গেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার পক্ষে কাজ করেন কয়েকজন।
এ ঘটনায় সসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেয়ায় অনিয়ম করে এখনও বহাল তবিয়েতেই রয়েছেন আলোচিত সেই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবদুর রহমান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০