শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, এর শর্তগুলো তাদের দাবি অনুযায়ী হয়নি। তাই তারা রাফায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে এবং একই সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলোচনার পরিকল্পনাও করেছে। খবর: আল জাজিরা।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও মিসরের গোয়েন্দা প্রধানকে তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
সাত মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের এমন এক সময় এ অগ্রগতি ঘটল, যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় আকাশ ও স্থল থেকে হামলা চালানো শুরু করেছে। তারা বাসিন্দাদের শহরটির কিছু অংশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমনন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবগুলো ইসরায়েলের দাবি পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি, কিন্তু তারপরও চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টায় মধ্যস্থতকারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে তারা।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা ফের শুরু করতে গতকাল মঙ্গলবার তাদের একটি প্রতিনিধিদল কায়রোয় গিয়েছে।
নেতানিয়াহুর দপ্তর ওই বিবৃতিতে বলেছে, তাদের প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধ মন্ত্রিসভা রাফায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সামাজিক মাধ্যম এক্সে বলেছেন, রাফায় বোমাবর্ষণ করে নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিকে ‘বিপদগ্রস্ত করছেন’।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতির যে পরিকল্পনা হামাস অনুমোদন করেছে, তা মিসরের প্রস্তাবের একটি দুর্বল সংস্করণ। এতে এমন উপাদান রয়েছে, যা ইসরায়েল মেনে নিতে পারবে না। এটি ইসরায়েলকে চুক্তি প্রত্যাখ্যানকারী একটি পক্ষের মতো দেখানোর কৌশল হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়া নিয়ে ওয়াশিংটন তার মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করবে আর একটি চুক্তি পুরোপুরিভাবেই অর্জনযোগ্য।
এদিকে রাতভর আকাশ হামলা চালিয়ে রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই ক্রসিং ছিল একমাত্র পথ যে স্থান দিয়ে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পেতেন গাজার ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের বাহিনী রাফার পূর্বাংশের বিশেষ এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়েছে।
এর আগে সেখান থেকে বেশিরভাগ বেসামরিক ফিলিস্তিনি এবং কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।