নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ এবং আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সদ্য পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটি দুই শতাংশ নগদ এবং আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ২৩ পয়সা। এ সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৭৮ পয়সা। এছাড়া কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করবে। এক্ষেত্রে সংঘস্মারকের ৬ নং অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে তাদের। অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর জন্য শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিতে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর। এবং একই তারিখে লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভারও (এজিএম) আয়োজন করা হয়েছে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাববছরে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৯ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ হিসাবে গত হিসাববছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪২ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল এক টাকা ৮৩ পয়সা। আইপিওর শেয়ার হিসাব করলে সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়ায় ৯৭ পয়সা।
আইপিও-পূর্ব পেইড আপ শেয়ারের ভিত্তিতে ৩০ জুন ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংয়ের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ২৩ পয়সা, আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে যা দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির আইপিও-পূর্ব মোট শেয়ারের সংখ্যা ছিল ছয় কোটি ৫০ লাখ, আইপিও শেয়ার বিবেচনায় নিলে যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ৫০ লাখ।
সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং। গতকাল থেকে পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে।
ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংকে আইপিওর মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে তিন কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা সংগহ করে প্রতিষ্ঠানটি। আইপিওর অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ভবন নির্মাণ, ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন, প্লান্ট ও মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫০ শতাংশ বা পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫ টাকায় হাতবদল হয়। এদিন কোম্পানিটির মোট ৫৭৩টি শেয়ার চারবার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১০ হাজার টাকা।