নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছ থেকে মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের তালিকা চেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের ইলেকট্রনিক ট্যাক্সপেয়ার্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ই-টিআইএন) এবং বিও হিসাবের বিস্তারিত তথ্য হালনাগাদের অনুরোধ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ঘোষিত লভ্যাংশের ওপর পাঁচ শতাংশ কর অব্যাহতির জন্য বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ১২ অঙ্কের ই-টিআইএন কোম্পানির রেকর্ড ডেটের আগে হালনাগাদ করার অনুরোধ করেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ই-টিআইএন হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হলে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ সেকশন ৫৪ অনুযায়ী লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে বিনিয়োগকারীকে। আর যাদের ১২ অঙ্কের ই-টিআইএন হালনাগাদ রয়েছে, তাদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে।
এদিকে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছে মার্জিন ঋণধারীদের নাম, সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য তাদের ব্যাংক হিসাবের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, রাউটিং নম্বর জমা দিতে বলা হয়েছে। আর যে বিনিয়োগকারী নগদ লভ্যাংশের যোগ্য, তাদের রেকর্ড ডেটের আগে সব তথ্য ৫ ডিসেম্বরের আগে জমা দিতে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাসসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল দুই টাকা ২৫ পয়সা ও ৩৬ টাকা।
ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থাপন করা হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা ছিল ১৩ নভেম্বর।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির ১৬ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬২৫টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৪৮৬ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে এক দশমিক ৬৮ শতাংশ বা দুই টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১২৩ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১২৩ টাকা ৩০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৪৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই- সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ২২ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ৮৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৯৯ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ২৪ টাকা ৬৭ পয়সা। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮০ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১৫৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (ইপি) অনুপাত ৭২ দশমিক ৯৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার রয়েছে আট কোটি।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার।