ক্রীড়া প্রতিবেদক: দুই দলের টেস্ট পরিসংখ্যানে অনেক এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। তবে সেসব এখন অতীত। এবার নতুন এক বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখবে লঙ্কানরা। তাছাড়া স্বাগতিকদের দলটিও বেশ তরুণ। দলটিতে নেই কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, তিলকারতেœ দিলশানদের মতো ক্রিকেটাররা। ইনজুরির কারণে নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকেও পাচ্ছে না দ্বীপরাষ্ট্রের দলটি। যা কিছুটা হলেও আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া গল টেস্টে এগিয়ে রাখছে টাইগারদের। স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভালো কিছুর। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় মাঠে গড়াবে বল। সরাসরি ম্যাচ দেখা যাবে চ্যানেল নাইন ও টেন ক্রিকেটে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ১৬টি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ১৪টিতে জিতেছে লঙ্কানরা। টাইগারদের সাফল্য বলতে দুটো ড্র। তবে সফরকারীদের বেশ ভালো সম্ভাবনা দেখাচ্ছে গল টেস্ট। কেননা এ স্টেডিয়ামেই রয়েছে মুশফিকদের সুখস্মৃতি। আজ থেকে তিন বছর আগে এ মাঠেই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশি। মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাসির হোসেন করেছিলেন সেঞ্চুরি। ওই ম্যাচে টাইগাররা করেছিল ৬৩৮ রান। যা এখনও গলে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। যা থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভালো করতে পুরো সিরিজেই নিজেদের সেরাটা দিতে হবে ক্রিকেটারদের। সেটা ভালো করেই জানা রয়েছে সফরকারীদের। আর এ দিকে সবাই মনোযোগও দিয়েছেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে যেমনটা শোনা গেল মুশফিকের কণ্ঠে। টাইগার টেস্ট অধিনায়ক বললেন, ‘ওদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। তার দিকেই আমাদের পূর্ণ মনোযোগ। শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি শুরুটা ভালো করতে পারবো। অতীত যদি ভালো থাকে, অবশ্যই সেটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এটা অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী করবে যে, আমরা এ উইকেটে তাদের বিপক্ষে ভালো খেলেছিলাম। এটা মানসিকভাবে অনেক সহায়তা করবে আমাদের।’
২০১৩ সালের গল টেস্টের কথা মনে রয়েছে স্বাগতিক অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথের। যে ম্যাচে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ছাড়াই ড্র করেছিল টাইগাররা। সেদিক দিয়ে এবারের বাংলাদেশ দল পূর্ণশক্তির।
সফরের প্রথম টেস্ট জিততে এরই মধ্যে সেরা প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। গতকালও কঠোর অনুশীলন করেছে সফরকারীরা। তবে একাদশ নিয়ে কাল পর্যন্ত কিছু জানা জায়নি। আজ সকালে টসের আগেই নাকি নিশ্চিত হবে সেরা একাদশ। উইকেট আর স্কোয়াড নিয়ে বলতে গিয়ে মুশফিক গতকাল বলেন, ‘এখানের উইকেট ভালো হবে বলে মনে করছি। উইকেট বিবেচনা করেই স্কোয়াড সাজানো হবে। যদি পেসার দরকার হয়, তাহলে বেশি পেসারকে সুযোগ দেওয়া হবে। আর যদি মনে হয় উইকেট স্পিনবান্ধব, তবে স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে থাকবো। উইকেট থেকে যারা বেশি সুবিধা পাবে, স্কোয়াডে তারাই থাকবে। তবে প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’ তার আগেই কিছুটা অনুমান তো করাই যায় কে থাকছেন দলে আর কে বাইরে যাচ্ছেন। সে হিসেবে লিটন কুমার দাসের জন্য গল টেস্টে একাদশের বাইরে যেতে হচ্ছে সাব্বির রহমানকে।
টেস্ট অভিষেকের পর এবারই পূর্ণশক্তির দল পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই বছর পর টেস্ট দলে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিউজিল্যান্ড সফরের পর আবারও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরেছেন রুবেল হোসেন। এবারই প্রথম উইকেটকিপিং থেকে সরে দাঁড়ালেন মুশফিক। তার জায়গায় দেখা যাবে লিটন কুমার দাসকে। এদিকে স্পিন ডিপার্টমেন্টে রয়েছেন সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ব্যাটিংয়ে রয়েছেন তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিক, সাকিবরা। বলাই যায়Ñকোনো দলের বিপক্ষে টাইগারদের এই দল বেশ বিপজ্জনক। দ্বীপরাষ্ট্রে সেই বাংলাদেশকেই দেখতে চায় টাইগার ভক্তরা।
Add Comment