নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তিন প্রান্তিকের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের হিসাবে পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৩০ সেপেটম্বর সমাপ্ত তিন প্রান্তিকের জন্য ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন ৩৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগাকারীদের হিসাবে পাঠিয়েছে বাট শু। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৩১ পয়সা (লোকসান)। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৩০ টাকা ৮৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২০ টাকা ১১ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ২৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৩৬৫ শতাংশ নগদ দিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ১৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১০৭ টাকা ৮৪ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ৩৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯১ টাকা ৯০ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ বা আট টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৯৭০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯৬৮ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৫৭টি শেয়ার মোট ৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৯৬৫ টাকা থেকে ৯৭০ টাকার মধ্যে হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৯২৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৩৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।