অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. ইউনূসের হাতে ২৭ মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৭টি মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

ড. ইউনূসের পাওয়া মন্ত্রণালয়গুলো হলো- ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয় ৭. গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৮. ভূমি মন্ত্রণালয় ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ১০. কৃষি মন্ত্রণালয় ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১২. রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৪, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ১৫. নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ১৬. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১৭. মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২৩. সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ২৫. মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব যারা পেলেন:
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদÑঅর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; ২. ড. আসিফ নজরুলÑআইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ৩. আদিলুর রহমান খানÑশিল্প মন্ত্রণালয়; ৮. হাসান আরিফÑস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; ৫. মো. তৌহিদ হোসেনÑপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানÑপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; ৭. শারমীন এস মুরশিদÑসমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; ৮. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনÑস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ৯. ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনÑধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ১০. ফরিদা আখতারÑমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; ১১. নুরজাহান বেগমÑস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; ১২. মো. নাহিদ ইসলামÑডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ১৩. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াÑযুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
তবে রাজধানীর বাইরে অবস্থানের কারণে ফারুক-ই-আজম, বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা বৃহস্পতিবার শপথ নিতে পারেননি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। পরে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। তবে বিধান রঞ্জন রায়, ফারুক-ই-আজম ও সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকায় না থাকায় তারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. ইউনূস। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।

ঢাকায় ফিরে প্রথম বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে আমার প্রথম কাজ। কারও ওপর কোনো হামলা যেন না হয়। দেশবাসী যদি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন তাহলে দেশের কোথাও কারও ওপর হামলা হবে না। তিনি বলেন, আজ আমাদের গৌরবের দিন। যে বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বিজয় দিবস সৃষ্টি করল তরুণেরা সেটাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটা সম্ভব করেছে, যে তরুণ সমাজ এটা করেছে; তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। নতুন করে পুনর্জš§ দিয়েছে দেশকে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০