Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 3:33 am

অপপ্রচারে কান না দেওয়ার পরামর্শ ওবায়দুল কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনো ধরনের অপপ্রচার ও গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, একটি মতলবি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। উসকানিমূলক কোনো কিছু দেখলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আনার আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার নিজ সরকারি বাসভবন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, সম্প্রতি ধর্মীয়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মতলবি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে চালাচ্ছে অপপ্রচার। তারা সামাজিক শান্তি, স্বস্তি ও আমাদের ঐতিহ্যগত সব ধর্মের মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান নষ্ট করতে চায়। এসব মিথ্যা অপপ্রচার নিঃসন্দেহে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সম্প্রতি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও কুমিল্লার মুরাদনগরের দুটি ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের প্রতিটি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, হতে হবে পরধর্মসহিষ্ণু। কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করে বা কটাক্ষ করে পোস্ট দেওয়া প্রত্যাশিত নয়। এ ধরনের উসকানিমূলক পোস্ট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমি অনুরোধ করব কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। উসকানিমূলক কোনো কিছু নজরে এলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আনুন। অনুরোধ করছি, আপনারা কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করবেন না। পৃথিবীর সব ধর্মবিশ্বাসই অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’

করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে আমাদের দেশেও করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে যেকোনো আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। সরকার সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘নো মাস্ক নো’ সার্ভিস নীতি ঘোষণা করেছে। এ নীতি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। যেকোনো সমাগমে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার এ বিষয়ে ধীরে ধীরে কঠোর অবস্থানের দিকে যাচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেছেন সরকার নাকি মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিএনপির কথা শুনে হাসব না কাঁদব ভেবে পাই না। যারা এখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিশ্বস্ত আশ্রয়, তাদের মুখে এ কথা মানায় না। এদেশের স্বাধীনতা যার নেতৃত্বে এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের সে মহানায়ককে হত্যার সরাসরি বেনিফিশিয়ারি বিএনপি। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক। মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন আর চেতনাকে পদে পদে ভূলুণ্ঠিত করাই বিএনপির ইতিহাস ও রাজনৈতিক সাধনা। তাদের মুখে স্বাধীনতার সুরক্ষার কথা মানায় না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। কমিশন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করে আমাদের বক্তব্য থাকলে আমরা কমিশনকে জানাব। বিএনপির কোনো বক্তব্য থাকলে বা দ্বিমত থাকলে কমিশনকে জানাতে পারে।