শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ২০২৩ সালে শিশুদের ওপর করা সহিংসতার দায়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অপরাধীদের একটি বৈশ্বিক কালো তালিকায় যুক্ত করেছেন। ইসরায়েলের জাতিসংঘের দূত গিলাদ এরদান এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্স।
গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূতকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। একে ‘লজ্জাজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, হামাস ও ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদকেও এই তালিকায় যুক্ত করা হবে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ এই পদক্ষেকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ তাদের দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার ফল। শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে বৈশ্বিক এই তালিকাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১৪ জুন এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জমা দেবেন গুতেরেস।
এই তালিকায় ছয় ধরনের সহিংসতার কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো, হত্যা ও বিকলাঙ্গ করা, যৌন সহিংসতা, অপহরণ, শিশুদের নিয়োগ ও ব্যবহার, সাহায্য প্রবেশে অস্বীকার এবং স্কুল ও হাসপাতালে হামলা। তবে কী ধরনের সহিংসতার দায়ে ইসরায়েলকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং হামাস বা ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদকে তালিকাভুক্ত করা হবে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে।’ দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের বিতর্কিত সম্পর্ক রয়েছে, যেটি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আরও খারাপ হয়েছে।
গত মে মাসে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিহ্নিত মরদেহের তথ্যের বরাতে জাতিসংঘ বলেছিল, আট মাসব্যাপী চলমান এই যুদ্ধে গাজায় অন্তত সাত হাজার ৭৯৭টি শিশু নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে জাতিসংঘ।
এদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, এই যুদ্ধে মোট ১৫ হাজার ৫০০টি শিশু নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্য চাইল্ডের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ৩৮টি শিশু নিহত হয়েছে। এই হামলা গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত করেছে। তখন গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া প্রায় ২৫০ জনের মধ্যে ৪২ জনই শিশু ছিল। দুই শিশু ছাড়া বাকি সবাইকে পরে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
