অপরাধী যে-ই হোক শাস্তি পেতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধী যে-ই হোক আপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যচ্ছি। আজ মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন: ‘মানবাধিকার রক্ষার জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমরা যেমন মানবিধকার নিশ্চিত করছি তেমনিভাবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মাদক যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা প্রতিরোধেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা এরই মধ্যে দেখেছেন আমরা কয়েকটি বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং বিচারবিভাগ এ বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নারী, শিশু, শ্রমিক সবার অধিকার সম্পর্কে সচেতন। আমাদের দেশের নাগরিকককে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। অধিকারের সাথে সাথে আমাদের কর্তব্য সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। আমার জন্য যেটা অধিকার অন্যের জন্য তা কর্তব্য। আমার জন্য যা কর্তব্য অন্যের জন্য তা অধিকার। মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়ে নাগরিকদের জানাতে যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এসডিজি গোল আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আমাদের জীবনে যে কষ্ট করেছি পরবর্তী প্রজন্ম যেনো সেই কষ্ট না করে, সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা দারিদ্রের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৭ তে নামিয়ে এনেছি। বৃদ্ধ দরিদ্র যারা বিধবা মা-বোন তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থাসহ প্রতিবন্ধীদের ভাতার ব্যবস্থা আমরা করেছি। তৃতীয় লিঙ্গের গোষ্ঠীদের মর্যাদা দিয়েছি। মানুষকে মানুষ হিসেবে আমরা দেখবো।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন: ‘আমাদের এখানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাদের উপর যে অত্যাচার নির্যাতন দেখেছি আমার তখন শুধু মনে পড়েছে হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে যেভাবে আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেছিলো সে কথা। ১৯৭৫ এ আমরা রিফিউজি হয়েছিলাম। আমরা জানি রিফিউজি হয়ে বাঁচাটা কত লজ্জার কত কষ্টের। আমার মিয়ামনারের সাথে সংঘাতে যাইনি আলোচনা চালাচ্ছি যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০