Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 1:15 pm

অপরাধ ঠেকাতে অনলাইনে তথ্য সম্পদ নিরাপদে রাখতে হবে: স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইনে সব তথ্য ও সম্পদ নিরাপদ রাখতে হবে। প্রতিনিয়ত হ্যাকাররা অনলাইনে হুমকি দিচ্ছে। সরকার এসব হুমকি সম্পর্কে সচেতন ও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: সাইবার অপরাধ, নিরাপদ ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের নির্বাচনী ভিশন ছিল, যা এখন বাস্তবতা।

একই অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে অনেক পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। ফেইসবুক ও গুগলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ফেইসবুক এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আপত্তি উত্থাপনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফেইজবুক সাড়া দিচ্ছে। উসকানিমূলক কোনো ছবি, পোস্ট জঙ্গিবাদ ছড়ায়- এ ধরনের পেইজ তারা বন্ধ করেছেন। জঙ্গিবাদ ছড়ায় এমন আইডিগুলো অধিকাংশই ‘ফেইক’ (ভুয়া) যার কারণে এসব ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে।

বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন সহজেই সাইবার অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সহজ হচ্ছে। আমরা যদি সাইবার অপরাধীদের চেয়ে অগ্রসর থাকতে পারি তবে এসব অপরাধ দমন করা সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিজস্ব নীতিমালায় পরিচালিত হয়। সেখানে একটি অংশ থাকে, সেই নীতিমালাগুলো যেন কোনো রাষ্ট্রের আইন বিরোধী না হয়। এর যথাযথ বাস্তবায়ন হলে প্রতিটা দেশের সুবিধা হয়।

এর কারণ হিসেবে তারানা হালিম বলেন, আমাদের নিজস্ব কিছু সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রয়েছে, কিছু স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, কাজেই এই বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রেখে তাদের (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হয়।

সামাজিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং নীতিমালার জন্য প্রত্যেক দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন তদারকি সেল থাকা উচিত বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশনের (সিটিও) মহাসচিব শোলা টেইলর বলেন, সাইবার অপরাধ কোনো জাতির একার সমস্যা নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই এ সমস্যা বৈশ্বিকভাবেই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ সময় সাইবার অপরাধ দমনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের আরও বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহসান হাবীব খান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক দুদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। দুদিনের এই সম্মেলনে ৮টি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন (সিটিও) এই সম্মেলনের আয়োজক। সম্মেলন ও কর্মশালার প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: সাইবার ক্রাইম, সেফ ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড’।

সম্মেলনের শেষদিন বুধবার দুপুরে তরুণীদের নিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট, সাইবার  স্পেস এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।