চলছে লিচুর মৌসুম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও গাছে গাছে লিচুর ফলন। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অপরিপক্ব লিচুতেই ধারণ করছে পাকা রঙ। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাও সারাবছর অপেক্ষায় থাকে এই সময়ের জন্য।
ঈদের পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরেই মেতে উঠেছে অপরিপক্ব লিচু পাড়ায়। এতে ফল যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে স্বাস্থ্যেরও। সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ‘কাঁচা বা আধাপাকা লিচুতে থাকা টক্সিন হাইপোগ্লাইসিন এবং মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন নামক টক্সিন উপাদান বিষক্রিয়া ঘটিয়ে মৃত্যু ঘটাতেও পারে।’ গবেষণায় দেখা গেছে, হাইপোগ্লাইসিনে সাধারণত কাঁচা বা আধাপাকা অর্থাৎ পাকা নয়, এমন লিচুতে পাওয়া যায়। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মারাত্মক বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। অনেক রোগী কোমায় চলে যায়, এমনকি হতে পারে মৃত্যুর কারণও। ২০১৫ সালে মার্কিন গবেষকেরা জানান, ফলে থাকা এমসিপিএ নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ গ্রহণের মাধ্যমে মস্তিষ্কের রোগ হতে পারে। কাঁচা ও অপরিপক্ব লিচুতে এ বিষাক্ত পদার্থ অধিক মাত্রায় পাওয়া যায়। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের উচিত অপরিপক্ব লিচু পাড়ায় সচেতন হওয়া এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধ করা।
রহিমা খাতুন
শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়