আমাদের দেশে শিশুর রোগবালাইয়ে একটি ভয়াবহ কারণ অপুষ্টি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশ ঘটে অপুষ্টির কারণে।
সুষম খাদ্যের অভাবকে অপুষ্টির অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক শিশুর পুষ্টিজনিত ঘাটতির সূত্রপাত হয় বাল্যবিয়ে ও অপুষ্ট মায়ের গর্ভধারণের কারণে। অপুষ্ট শিশুদের জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার। পুষ্টিকর খাবারই শিশুকে সুস্থ-সবল রাখবে। খাবারের এমন কয়েকটি উপাদান সম্পর্কে জেনে নিন
আমিষ
আমিষ জাতীয় খাবার শরীরের বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণ করে। মাছ, ডিম, দুধ, ডাল, সীম প্রভৃতি আমিষ জাতীয় খাবারের উৎস।
শর্করা
কাজ করার জন্য শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায় শর্করা জাতীয় খাবার। ভাত, আটা, আলু, চিনি, গুড় প্রভৃতি শর্করা জাতীয় খাবার।
চর্বি
চর্বি জাতীয় খাবারও শরীরে শক্তি জোগায়, শক্তি ধরে রাখে। দুধ, মাখন, ঘি, পনির, ডিমের কুসুম, ডালনা, খাবার তেল প্রভৃতি চর্বি জাতীয় খাবার।
ভিটামিন
ভিটামিন দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এক ধরনের জৈব পদার্থ। দেহ রক্ষায় ভিটামিনের প্রয়োজন। ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, ‘ই’ ও ‘কে’ সমৃদ্ধ খাবার দেহে পুষ্টির অভাব দূর করে। তবে এগুলো শরীরে তৈরি হয় না, তাই খাবারের সঙ্গে জোগান দিতে হয়। এজন্য সুষম খাদ্যের
বিকল্প নেই।
খনিজ লবণ
শিশুর দেহের জন্য বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণের প্রয়োজন। খনিজ লবণ শিশুর রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ছোট চিংড়ি, ঢেঁড়স, কচুশাক, পালংশাক প্রভৃতি খনিজ জাতীয় খাবারের চমৎকার উৎস।
পানি
মানুষের শরীরের শতাংশই ৭০ ভাগই হচ্ছে পানি। প্রতিদিন দেহের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ পানিও পুষ্টি জোগানের কাজ করে।