হাইপার বুস্ট প্রযুক্তি আনার ঘোষণা দিয়েছে অপো মোবাইল।হাইপার বুস্ট হলো ফুল সিনারিও সিস্টেম-লেভেল পারফরম্যান্স বুস্ট ইঞ্জিন, যা অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতার উন্নতি ও শক্তি সাশ্রয়ের মাধ্যমে গ্রাহকের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই হাইপার বুস্ট এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা ব্যবহারিক দৃশ্য ও আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হবে। এটি স্মার্টফোনে অপটিমাইজিং সিস্টেম-লেভেল রিসোর্সের যথাযথ বিন্যাসের জন্য চমৎকার একটি সল্যুশন।
অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হেড
অব দ্য সফটওয়্যার রিসার্চ সেন্টার রায়ান চেন বলেন, স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের যাত্রা শুরু ২০১৫ সালে। ধারাবাহিক উন্নয়ন ও বিকাশের ফল হিসেবে অপো হাইপার বুস্টের উম্মোচন আনন্দের। এর অ্যানড্রয়েড সিস্টেমে রিসোর্সের নির্ভুল বিন্যাস ক্ষমতা হেভি-লোড অ্যাপের স্মার্টফোনে শক্তি সাশ্রয় ও কার্যক্ষমতার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। গ্রাহকের জন্য সেরা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করেছে।
অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, স্মার্টফোন উদ্ভাবনের জগতে অপো হাইপার বুস্ট হচ্ছে একটি মাইলফলক। এটি আমাদের উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দীর্ঘমেয়াদি যাত্রার একটি স্বীকৃতি। আমরা সব সময় তরুণ গ্রাহকের পছন্দে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
হাইপার বুস্ট হার্ডওয়্যার রিসোর্সের উত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে অ্যাপ ও গেমের গতি দ্রুত করে। সার্বিক সিস্টেমকে সাবলীল করে। তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত হাইপার বুস্ট স্মার্টফোনের গতিকে কার্যকরভাবে বাড়িয়ে দেয়:
সিস্টেম ইঞ্জিন
হাইপার বুস্ট কোয়ালকম ও মিডিয়াটেক প্ল্যাটফর্মে সিস্টেম-লেভেল অপটিমাইজ করে। এ প্রযুক্তিটি ২০টিরও বেশি সফটওয়্যার সিনারিও ও ২০টির বেশি সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণকারী হার্ডওয়্যারর রিসোর্সকে কার্যকরভাবে অপটিমাইজ করার জন্য ৫০টির বেশি সমাধান দিয়ে থাকে। ফলে ব্যবহারকারী প্রায় সব ক্ষেত্রে একটি মসৃণ ও নির্ভরযোগ্য অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন। এ অপটিমাইজেশনের ফলে সাধারণ অ্যাপের লোড হতে প্রায় ৩১.৯১ শতাংশ কম সময় লাগে।
গেম ইঞ্জিন
টেন্সেন্ট ও নেটিজসহ আনরিয়েল, ইউনিটি ও কোকোসের মতো গেম ইঞ্জিনের সঙ্গে যেসব স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শুরু থেকে কাজ করছে, তার মধ্যে অপো অন্যতম। অপো তাই শীর্ষ ১০০টি মোবাইল গেমসে দক্ষতার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ অপটিমাইজেশন ঘটিয়ে থাকে। অপোর গেম ইঞ্জিন সবচেয়ে জনপ্রিয় ১১টি মোবাইল ফোন গেমে অপটিমাইযেশন সুবিধা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে অনার অভ কিংস ও পিইউবিজি। এর পলিমরফিক নেটওয়ার্ক এক্সিলারেশন টেকনোলজি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেলুলার ও ওয়াইফাই ডেটা নেটওয়ার্ক চ্যানেলের মধ্যে ট্র্যাফিক বণ্টন করতে পারে। এ অপটিমাইজেশন প্রযুক্তি নেটওয়ার্কের সুপ্তাবস্থা কমিয়ে আরামদায়ক ও মসৃণ গেমিং অভিজ্ঞতা উপহার দেয়।
অ্যাপ ইঞ্জিন
হাইপার বুস্ট সবার প্রথমে ইউইচ্যাট, মোবাইল টাওবাও ও মোবাইল কিউকিউ’র মতো প্ল্যাটফর্ম লেভেল অ্যাপগুলোকে অপটিমাইজ করার জন্য কাজ করে। এ প্রযুক্তি ৩৯টি সাধারণ পরিস্থিতিতে ব্যবহƒত অ্যাপের নাটকীয় গতি নিয়ে আসে।
অপো বরাবরই ব্যবহারকারীদের চাহিদা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওপর জোর দিয়ে আসছে। ফাস্ট চার্জিং ও ইমেজ ফটোগ্রাফি অপোর দুটি শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য, যা প্রতিষ্ঠানটিকে মজবুত অবস্থানে এনে দিয়েছে।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে অপো ফাইভ জি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (আইএ) নিয়েও কাজ করছে। এ বছর অপো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসামান্য অবদান রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে হাইপার বুস্ট, আলট্রা-ক্লিয়ার নাইট সিন, সুপার ঠঙঙঈ ফাস্ট চার্জিং, থ্রিডি স্ট্রাকচার্ড লাইট ও টিওএফ।