নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় অর্থনীতিতে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প খাতের অবদান জোরদারে বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন শিল্প খাতের আওতাভুক্ত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিরূপণ করে খাতভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শোভন কর্মপরিবেশ উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর ফলে শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ব্যাপক হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও দক্ষ জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ শক্তিশালী হবে।
গতকাল শনিবার ‘বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি: গতিশীল উপাদানগুলোর একীভূতকরণ ও আইএসআইএসসির ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় শিল্প সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইনফরমাল সেক্টর ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিল (এনএসডিসি) যৌথভাবে রাজধানীর একটি হোটেলে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ইনফরমাল সেক্টর ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস্ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মির্জা নূরুল গণি শোভনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পৃথকভাবে দুটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএসআইএসসি’র সদস্য সচিব মো. মাহাবুবুল ইসলাম ও আইএলওর প্রোগ্রাম অফিসার তানজিল আহসান। এতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নের পরিষদ (এনএসডিসি) সচিবালয়ের প্রধান নির্বাহী এবিএম খোরশেদ আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি মো. শফিকুল ইসলাম, আইএলওর প্রধান কারিগরি পরামর্শক স্নেহাল সনিজি, সুইস কন্ট্রাকের টিমলিডার মতিউর রহমান, ইউসেপ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনাহ আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্প সচিব বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ চাকরি বাজারে প্রবেশ করছে। সরকারি খাতে এককভাবে এত লোকের কর্মসংস্থান সম্ভব নয়। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৬৬ শতাংশ শ্রমজীবী উল্লেখ করে তিনি এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে কারিগরি প্রশিক্ষণের আওতায় এনে কর্মীর হাতিয়ারে পরিণত করার তাগিদ দেন তিনি। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কমপক্ষে তিনগুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।