Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 7:32 pm

অফশোর ব্যাংকিংয়েও সমহারে সিআরআর এসএলআর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের (ওবিইউ) নগদ জমা অনুপাত (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তরল-সম্পদ সংরক্ষণের (এসএলআর) বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্থানীয় ব্যাংকের মতো এসব ইউনিটকেও এখন থেকে পাঁচ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে সিআরআর এবং বন্ড বা অন্যান্য উপাদানের বিপরীতে ১৩ শতাংশ হারে এসএলআর মেনে চলতে হবে।
ওবিইউগুলো চাইলে বৈদেশিক বা স্থানীয় মুদ্রায় সিআরআর ও এসএলআর সংরক্ষণ করতে পারবে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ১৯৮৫ সাল থেকে দেশে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের মতো অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটকেও সিআরআর, এসএলআর সংরক্ষণসহ কার্যক্রম পরিচালনার বিভিন্ন গণ্ডী নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এখন সিআরআর-এসএলআর সংরক্ষণে কি কি উপাদানকে বিবেচনায় নিতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
গতকালের সার্কুলারে বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের চলতি বছরের ১ জুলাইভিত্তিক মেয়াদি ও চলতি দায়ের ওপর ভিত্তি করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে হবে। ওবিইউগুলোকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন করতে হবে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে। তবে কোনো ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের চলতি ও মেয়াদি দায় কত সে বিষয়ে প্রতিবেদন করতে হবে আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে।
এতে আরও বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিংয়ের মেয়াদি ও চলতি দায় হিসাবের ক্ষেত্রে গ্রাহকের আমানত, দেশের বাইরে অবস্থিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া আমানত এবং ঋণ, পরিশোধযোগ্য অন্য দায় বিবেচনায় নিতে হবে। টাকায় বা বৈদেশিক মুদ্রায় যা সংরক্ষণ করা যাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাবের বিপরীতে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ রাখা যাবে। বাকি শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ রাখতে হবে টাকায়। এছাড়া এসএলআর হিসাবের ক্ষেত্রে ‘নস্ট্রো’ অ্যাকাউন্টে রক্ষিত অর্থও বিবেচনায় নেওয়া যাবে।