নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহারে অবকাঠামো খাতকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবিরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সংগঠনের নেতারা এ প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে সংগঠনের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হোসেন এ সিকদার, পরিচালক খন্দকার আবদুল মোক্তাদির প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, বর্তমানে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এটাকে ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা আবশ্যক এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ব্যবহার করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ ও ডিজিপির অনুপাত ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, গত বছরের এই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এসএমই উৎপাদন খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অটোমেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে, পাশাপাশি তিনি সব ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন।
ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বর্তমানে কম, যা বেসরকারি খাতের জন্য আশাব্যঞ্জক একটি বিষয়।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্বিগ্ন, তবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে স্বল্প সুদে উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে। তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
Add Comment