শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ অবশেষে ভীষণ অজনপ্রিয় পেনশন সংস্কার বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এ বিলে পেনশন সুবিধার বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করা হয়েছে। খবর: বিবিসি।
ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ উসকে দেয়া এ পেনশন সংস্কার বিল সাংবিধানিক পরিষদের সবুজ সংকেত পেয়েছে। গত শুক্রবার বিলটি অনুমোদন করেছে সাংবিধানিক পরিষদ। এখন শিগগির এতে স্বাক্ষর করে একে আইনে পরিণত করার পাশাপাশি তা কার্যকরও করা সম্ভব হবে।
শ্রমমন্ত্রী অলিভার ডুসোপ্ট বলেন, নতুন আইন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে। প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ পেনশন পাওয়ার বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তার প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে যারা বামপন্থি তারাসহ ম্যাখোঁ-বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে এ পরিকল্পনা বিফল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এ পরিস্থিতি এড়াতে সরকার বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ভোটাভুটি ছাড়াই বিল পাস করবে। পার্লামেন্টে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা আসার সময়ই বিরোধী শিবির থেকে সরকারের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এছাড়া ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিক্ষোভ আরও জোরালো হতে থাকে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে বেধে যায় সংঘর্ষ। ফ্রান্সের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ছড়ায়। এতে এখন পর্যন্ত রাজধানী প্যারিস থেকে ১১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অবসর নেয়ার ন্যূনতম বয়স সরকার বাড়াতে চাওয়ার কারণে মূলত ফ্রান্সে এ পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে মানুষ। এত দিন সব মিলিয়ে যেখানে সাড়ে ৪১ বছর কাজ করলেই অবসর নেয়া যেত, সংস্কার পরিকল্পনা কার্যকর হলে সেখানে অন্তত ৪৩ বছর কাজ করলে প্রাপ্য পেনশনের পুরোটা পাওয়া যাবে। এর চেয়ে কম কাজ করলে কিছু তহবিল কাটা যাবে।
ফ্রান্সে জনমত জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষ সংস্কার পরিকল্পনারবিরোধী এবং সরকার পার্লামেন্টে ভোটকে পাশ কাটিয়ে এ বিল পাসের যে সিদ্ধান্ত নেয়, তার বিপক্ষেও বেশিরভাগ মানুষ। ফ্রান্সের সাংবিধানিক পরিষদ বলেছে, সরকার যে পরিকল্পনা করেছে সেটি সংবিধানসম্মত। এর ভিত্তিতেই পরিষদ অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন করেছে। একই সঙ্গে পেনশন সংস্কার প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের জন্য বিরোধীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাও প্রত্যাখ্যান করেছে সাংবিধানিক পরিষদ।