Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 11:51 am

অবশেষে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব পেতে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) স্বত্ব পেতে আবেদন করেছেন জেলা প্রশাসক। গতকাল মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ আবেদন করা হয়। বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান জেলা প্রশাসক। দ্রুতই আবেদনটি কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি প্রকৃতপক্ষে যেকোনো বিচারে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার। আমরা বিগত তিন মাস ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। মঙ্গলবার আমরা আবেদন করেছি। মূলত শাড়িটির ইতিহাস, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুনের জীবন-জীবিকার তথ্যটি, আড়াইশ বছরের ইতিহাসের তথ্যাদি সংগ্রহ করে ডকুমেন্টেশন তৈরি করে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই টাঙ্গাইল শাড়ি নামে জিআই স্বীকৃতি পাব।’

তিনি আরও বলেন, “টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার পরে ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন’Ñএর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিল করব। ভারত ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে যে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে, এটি বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা পুরোপুরো আশাবাদী টাঙ্গাইল শাড়ি চূড়ান্ত বিচারে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে আসতে পারব।”

বাংলাদেশের বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ির উৎস পশ্চিমবঙ্গ সম্প্রতি এমনটা দাবি করে ভারতীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। বিতর্কিত দাবিটি মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল পেজে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে করা হয়েছিল, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা ও হাস্যরসের জš§ দেয়।

পোস্টে দাবি করা হয়, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। সূক্ষ্ম উপস্থাপন, প্রাণবন্ত রং এবং জটিল বুননের জন্য শাড়িটি বিখ্যাত, এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রতিটি টাঙ্গাইল শাড়ি দক্ষ কারুকার্যের প্রমাণ; এটি ঐতিহ্য এবং কমনীয়তাকে একত্রিত করে।’