অবশেষে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নাইজারের প্রধান ইউরেনিয়াম খনি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম খনিগুলোর মধ্যে একটি নাইজারের ইমোরারেন খনি দেশটির সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ফরাসি পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদনকারী ওরানো কোম্পানির অপারেটিং লাইসেন্স প্রত্যাহার করার পর এটি জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণে ফিরে এসেছে। খবর: টিআরটি আফ্রিকা।

কোম্পানিটি গত সপ্তাহে বলেছে, উত্তর নাইজারের ইমোরারেন খনি থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে ফ্রান্স ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির সামরিক শাসকদের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনা প্রকাশ পেয়েছে। ইমোরারেন খনি ‘নাইজারের সর্বজনীন নিয়ন্ত্রণে’ ফিরে এসেছে।

এই বিবৃতি প্রকাশের আগে সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি এবং চলতি বছরের মার্চে খনি মন্ত্রণালয়ের দুটি ‘আনুষ্ঠানিক নোটিশ’ সত্ত্বেও ওরানো ‘কখনও তার প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করেনি’ বলে এই লাইসেন্স প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওরানো বলেছে, এটি তার সহযোগী ইমোরারেন এসএ থেকে লাইসেন্স প্রত্যাহারের ‘নোটিশ পেয়েছে’।

ইমোরারেন খনিটিতে আনুমানিক দুই লাখ টন ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে, যা পারমাণবিক শক্তি এবং অস্ত্রের জন্য ব্যবহƒত হয়। কিন্তু ২০১১ সালে জাপানে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর বিশ্ব ইউরেনিয়ামের দাম কমে যাওয়ার পর খনির উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়ে।

নাইজারের সামরিক শাসকরা জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর গুরুত্ব দেয়ার অংশ হিসাবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশে খনি সম্পদ দেশের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি এবং ঐতিহ্যগত অংশীদার ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এবং রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে।  রাশিয়া এই অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। পারমাণবিক সংস্থা ইউরাটমের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ইউরোপীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামের প্রায় এক-চতুর্থাংশ সরবরাহ করেছে নাইজার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০