নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৭ কোটি টাকার বেশি কর ফাঁকির মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরীকে নয় বছর কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই রায় দেন। বিশেষ আদালতের পেশকার মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে মামলার আসামি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৬৪, ১৬৫, ১৬৬ ধারার মামলায় শাস্তি যথাক্রমে এক, তিন ও পাঁচ বছর-মোট নয় বছরের বিনাশ্রম সাজা খাটতে হবে তাকে। সাজা চলবে একটির পর একটি।’
অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়ের করেন। মামলার রায়ে বলা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি, অপ্রদর্শিত আয় এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মামলার সুচনালগ্ন থেকে পলাতক থাকায় শহিদ উদ্দিনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি মামলাটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেননি।
রায়ে বলা হয়, শহিদ উদ্দিন ২০১৪-২০১৫ করবর্ষে ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ২৮৬ টাকা, ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে ৯ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ৬০০ টাকা, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ৭ কোটি ৭ লাখ ১৪ হাজার ২২১ টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন। অর্থাৎ তিন করবর্ষে মোট ১৭ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার ১০৭ টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন। ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে নোটিস জারি হওয়ার পরও আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি এবং করযোগ্য আয় গোপন করে আয়কর ফাঁকির অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর ঢাকার চতুর্থ মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অস্ত্র মামলায় অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম খানসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। ফারজানাও পলাতক আছেন।
###