নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনে অবৈধভাবে ভোট বা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গেলে তাকে শনাক্ত করে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে আমরা বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে দুই হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্রে ১৪ হাজার ৪৩৬টি ভোটকক্ষ পরিচালনার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। পরীক্ষামূলক বা মক ভোটিংয়ের জন্য ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৪৫ হাজার ৭৭০ জন প্রিসাইডিং পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রে দুজন করে পাঁচ হাজার ১৫ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। তারা কারিগরি কাজ দেখবেন। তারা আইনশৃঙ্খলার কোনো কাজে অংশ নেবেন না। সেনা ছাউনি থেকে তারা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আবার সেখান থেকে তারা সরাসরি সেনা ছাউনিতে চলে যাবেন।
তিনি বলেন, প্রিসাইডিং অফিসার কিংবা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার কোনো ভোট দিতে পারবেন না। তবে তারা ভোট পরিচালনা করবেন। তবে বিভিন্ন কারণে কারও ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে তারা এক শতাংশ পর্যন্ত ভোট দিতে সহায়তা করতে পারবে। এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, কেউ অবৈধভাবে ভোট বা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গেলে তাকে শনাক্ত করে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, সব পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফলের প্রিন্ট কপি প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টের কাছে দেওয়া হবে। প্রত্যেক কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করা হবে। পরে কেন্দ্র থেকে সেই ফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি ভোট শেষ (বিকাল ৪টা) হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই ফল কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা হবে। কেন্দ্র থেকে ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যদি ফল প্রকাশ করতে দেরি হয়, তাহলে আমাদের করার কিছু নেই। এটা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের দোষ না। একজন ভোটারের ভোট দিতে ৪০ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ১ মিনিট সময় লাগার কথা। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করি।