নিজস্ব প্রতিবেদক: সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যারা অবৈধভাবে মজুত করছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকির নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিট আবেদনের ওপর তিন দিন শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পাশাপাশি বেআইনিভাবে ‘সিন্ডিকেট’ তৈরি ও পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
বাণিজ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, খাদ্যসচিব, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, টিসিবি চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আদেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরি করতে গত ৬ মার্চ এ রিট আবেদন করেন সৈয়দ মহিদুল কবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবীর, মনির হোসেন ও মোহাম্মদ উল্লাহ।
বাণিজ্যসচিব, খাদ্যসচিব, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিসহ আটজনকে সেখানে বিবাদী করা হয়।
মার্চের শুরুতে মিল মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গেলে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এরপরও দেশে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে থাকে; যদিও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তেল এখনও মজুত রয়েছে বলে সরকারের ভাষ্য।
চলতি সপ্তাহে ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সভায় অর্থমন্ত্রী ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোয় নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি করেনি দোকানিরা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এরই মধ্যে বাজারে ও তেলের মিলে অভিযান শুরু করেছে।
পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল করতে এরই মধ্যে তিন ধাপে ভোজ্যতেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।