শেয়ার বিজ ডেস্ক: উন্নত জীবনের আশায় লিথুয়ানিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশ করতে যাওয়া ৯৮ ইরাকিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অভিবাসনপ্রত্যাশী এসব মানুষ ইউরোপের আরেক দেশ বেলারুশ হয়ে লিথুয়ানিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন। লিথুয়ানিয়া থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এভাবে ফেরত পাঠানোর প্রথম ঘটনা এটি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগনে বিলোটাইটে। খবর: ডয়েচে ভেলে।
বিলোটাইটে একে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলেছেন। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইরাক সরকারকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রাব্রিয়েলুস ল্যান্ডবার্গিস।
তুলনামূলক সহজ রুট হওয়ায় এই অভিবাসীরা গত বছর বিভিন্ন সময় বেলারুশ থেকে লিথুয়ানিয়ায় প্রবেশ করেন। প্রাথমিকভাবে তাদের পাঁচটি ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হয়। বর্তমানে ক্যাম্পগুলোয় তিন হাজার ১৬৬ জন রয়েছেন। বেলারুশ হয়ে আসা মোট চার হাজার ২০০ জন দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিশেষায়িত অনলাইন পোর্টাল ইনফোমাইগ্রেন্টসের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলে জানায়, লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়ুস থেকে অভিবাসীদের বহনকারী একটি ফ্লাইট ইরাকের বাগদাদ ও এরবিলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেলারুশ সীমান্তে কয়েক হাজার অভিবাসী রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগ মধ্যপ্রাচ্যের নাগরিক। এখান থেকে তারা লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরে তাদের অনেকে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালিতে পাড়ি জমান।
এসব কারণে বেলারুশের সঙ্গে কয়েকশ কিলোমিটার সীমান্তে দেয়াল তোলার উদ্যোগ নিয়েছে লিথুয়ানিয়া। অভিবাসীদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চান, তাদের এককালীন এক হাজার ইউরো আর্থিক সহায়তা দেয় দেশটি। অন্যদিকে একজন শরণার্থীর জন্য বছরে ১১ হাজার ইউরো খরচ করে দেশটির সরকার। তাই কম খরচে অনেককে বিভিন্ন দেশে প্রত্যাবসান করা হয়। এমনই ৫৩৭ জনকে গত বছর বিভিন্ন দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। আর্থিক সহায়তা পেয়ে ৪৮২ জন স্বেচ্ছায় দেশটি ছেড়েছেন। অনেককে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত পাঠানো হয়েছে।