শেয়ার বিজ ডেস্ক: জার্মানিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দ কমছে। দেশের বড় একটা অংশ মনে করছে, গত আট বছরে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে ফেলেছে জার্মানি, যা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। খবর: ডয়চে ভেলে।
জার্মানিতে প্রবেশ করলেও এখনও থাকার বৈধ অধিকার না পাওয়া মানুষদের জন্য অর্থ বরাদ্দ যে কমানো হয়েছে, তা সরকারের তরফ থেকে স্বীকার করা হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের জন্য এ খাতে ১৭০ কোটি ইউরো (১৭৯ কোটি ডলার) দিয়েছে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।
মূলত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আবাসন, খাদ্য ও একীভূতকরণের কাজে ব্যয়ের জন্য দেশের পৌর কর্তৃপক্ষগুলোকে দেয়া এ অর্থ নিয়ে এরই মধ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন জার্মানির শহর এবং পৌরসভা-সংক্রান্ত অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জার্ড লান্ডসবার্গ। দেশটির দৈনিক পত্রিকা হান্ডেলসব্লাটকে তিনি বলেন, বরাদ্দ করা অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। তার মতে, সংকট নিরসন করতে হলে আরও নিয়ম-কানুন প্রণয়ন করতে হবে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সীমাবদ্ধতা বাড়াতে হবে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে ন্যায্যভাবে ভাগ করে দিতে হবে এবং নগর কর্তৃপক্ষগুলোর জন্য এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।
জার্মানির বিভিন্ন শহরে আবার অভিবাসনপ্রত্যাশীর চাপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মাঠপর্যায়ে যাচাই করে দেখতে রাজধানী বার্লিনে যায় ডয়চে ভেলে। বার্লিনের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের সচিব আজিক বোৎসকুর্ট জানান, ২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছর প্রথম ৯ মাসে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩২ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি জানান, ২০২২ সালের ১২ মাসে যেখানে এসেছিল মোট ৯ হাজার, এবার প্রথম ৯ মাসেই সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৩ হাজার ছুঁয়েছে। বার্লিন রাজ্য শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থার (আইএএফ) ভারপ্রাপ্ত প্রধান আজিজ বোৎসকুর্ট অবশ্য ২০১৫ সালের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি এখনও হয়নি বলে চলমান পরিস্থিতিকে অনেকটা মন্দের ভালো বলেই মনে করছেন। ওই সময়ে শুধু বার্লিনে আশ্রয় নিয়েছিল সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আসা প্রায় ৩৩ হাজার শরণার্থী।
সম্প্রতি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তারা মনে করেন, আশ্রয়প্রার্থী যে হারে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আজিজ বোৎসকুর্ট বলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয় নিয়ে আমার সংস্থা যে চাপে রয়েছে, তা অস্বীকার করব না।