শেয়ার বিজ ডেস্ক: শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জোরপূর্বক নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়ার (পুশব্যাক) বিষয়ে লিথুয়ানিয়ার পার্লামেন্টে গত মঙ্গলবার একটি নতুন আইন পাস হয়েছে। ফলে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে অবৈধভাবে অভিবাসনের জন্য আসা ব্যক্তিদের পথ বন্ধ হয়ে গেল। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ লিথুয়ানিয়া। দেশটির এ আইন পাসের ফলে মানবাধিকার কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বল্টিক অঞ্চলের এ রাষ্ট্র এরই মধ্যে ২০২১ সাল থেকে তথাকথিত পুশব্যাক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সে সময় মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও পোল্যান্ডের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের চেষ্টা শুরু করে।
গত সপ্তাহে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক সতর্কবার্তায় জানায়, এ আইন নির্যাতন করার বিষয়টিকে বৈধতা দেবে।
আইনটি কার্যকর করার জন্য এখন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন। মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্টকে এর বিরুদ্ধে ভেটো দেয়ার আহ্বান জানাবেন।
লিথুয়ানিয়ার মানবাধিকার কেন্দ্রের প্রধান জুরাতে জুসকাইতে বলেন, আইনের এসব সংস্কার আন্তর্জাতিক আইন ও আমাদের অঙ্গীকার উভয়ের বিপক্ষে যায়। এগুলো অনৈতিক। এর মাধ্যমে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবন ও স্বাস্থ্য বিপদগ্রস্ত হবে।
গত বছর অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে লিথুয়ানিয়া বেলারুশের সীমান্তজুড়ে চার মিটারের একটি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। এ বেড়া প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৭০০ কিলোমিটার।
আরেক প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেলারুশের সঙ্গে তাদের সীমান্তে নিয়মিত পুশব্যাক প্রক্রিয়া প্রয়োগ করছে। এ বিতর্কিত পদক্ষেপ পোল্যান্ডে আইন অনুযায়ী অনুমোদিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধ্যাদেশ ও বিদেশি নাগরিক-সংক্রান্ত আইনের মাধ্যমে একে বৈধতা দেয়া হয়েছে। তবে দুটি পৃথক ঘটনায় আদালত শরণার্থীদের অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছেন।