চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যৌন হয়রানির অভিযুক্ত রসায়ন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল দফায় দফায় বৈঠক করেছেন৷ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করছেন।
শুক্রবার রাত আটটার দিকে শহরের চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এসময় যৌন নিপীড়ন সেলের সদস্যবৃন্দ ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা এই ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি। আমরা কোন অবস্থাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুন্ন হতে দিবো না। আমাদের কোন ছাত্রী অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়লে আমরা তাদের পাশে আছি। যা করার আমরা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, তদন্তের সময় কিছু বললে এটাকে বলে সাবজুডিশ। যদি আমরা বলে ফেলি তাহলে হয়তো সে পরবর্তীতে চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে। এইজন্য আমরা নাম বলবো না। তবে আমাদের কাজ অতিদ্রুত গতিতে চলছে। ভিসি ম্যাম আমাদের থেকে প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট নিচ্ছেন। আমরা গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৈঠক শেষ করে রাত নয়টায় আসছি। আবার আজকে বন্ধের দিন তবুও আমাদের কাজ চলমান। আমরা অভিযুক্তের সব বিষয় গুলো নিয়ে, ২০১০ সাল থেকে তার অতীতের বিষয়গুলোও খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতেছি।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ আলোচনা করতেছি তবে উনার বিরুদ্ধে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ পেয়েছি।আশা করি অতি অল্প সময়ের ভিতরে আমরা কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।
সিন্ডিকেট সদস্য ড. নঈম হাসান চৌধুরী আওরঙ্গজেব বলেন, আপনারা দেখতেছেন আমাদের কাজের গতি কেমন আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তদন্তের কাজ চলমান রাখছি। বিষয়টা যেহেতু খুব স্পর্শকাতর বিষয়টাতে খতিয়ে দেখার জন্য একটু সময় দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যাপারে খুব সচেতন। এটার একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে উপাচার্য শিরীণ আখতারের বরাবর নিজ বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক অভিযোগটি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন। এটা নিয়ে ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন৷