Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 11:35 pm

অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ে তহবিল স্থানান্তর নয়

,নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে নতুন করে তহবিল স্থানান্তর করা যাবে না। একই সঙ্গে এর আগে যারা অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করেছে, তা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অধিকতর গতিশীলতা আনতে এবং ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং অপারেশনকে ডমেস্টিক ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে ব্যাংকের ডমেস্টিক ব্যাংকিং থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ে তহবিল স্থানান্তর রহিত করা হলো। এছাড়া এর আগে ডমেস্টিক ব্যাংকিং থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তরিত তহবিল পর্যায়ক্রমে কমিয়ে এনে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি সমন্বয় করতে হবে।

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এছাড়া অফশোর ব্যাংকিং-সংক্রান্ত অন্য সব ধরনের নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

জানা যায়, দেশের বাইরে থেকে তহবিল সংগ্রহ করে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিতরণের জন্য ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেয়া হয়। এত দিন নীতিমালা ছাড়াই চলছিল কার্যক্রম। তবে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো অফশোর ব্যাংকিং পরিচালনার নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ব্যাংক যে ঋণ বিতরণ করবে, তার অন্তত ৭৫ শতাংশ দেশেই বিনিয়োগ হতে হবে। আর অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ে তহবিল স্থানান্তরের সীমা ব্যাংকের মোট রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়, যা পরবর্তীকালে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে একটি ব্যাংকের মূলধনের ২০ শতাংশের পরিবর্তে থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত তহবিল সংগ্রহ করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়।

এছাড়া ব্যাংকের দায়-সম্পদ ব্যবস্থাপনা, মূলধন, সিআরআর ও এসএলআর সংরক্ষণসহ সব ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যাংকিংয়ের মতো নিয়ম মেনে চলতে হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।

অফশোর ব্যাংকিং হলোÑব্যাংকের অভ্যন্তরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা। বিদেশি কোম্পানিকে ঋণ দেয়া ও বিদেশি উৎস থেকে আমানত সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ে। স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব হয় অফশোর ব্যাংকিংয়ে। ব্যাংকের কোনো নিয়ম-নীতিমালা অফশোর ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয় না। কেবল মুনাফা ও লোকসানের হিসাব যোগ হয় ব্যাংকের মূল মুনাফায়।